রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের এক শিক্ষিকাকে হেনস্তা করার অভিযোগে একই বিভাগের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহকে সাময়িক বহিষ্কার ও গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন।
বুধবার (২৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আশিকউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীদের সাথে অশোভন আচরণ করে আসছিল। বুধবার সকালে আইন বিভাগের প্রফেসর বেগম আসমা সিদ্দিকাকে হেনস্তা করার প্রতিবাদের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্দোলন করেছে।
এদিন বিকালে প্রফেসর বেগম আসমা সিদ্দিকা বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে একটি মামলা করেন। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ আশিক উল্লাহকে গ্রেফতার করে।
এর আগে, বুধবার সকালে প্রফেসর বেগম আসমা সিদ্দীকা চতুর্থ বর্ষের ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাকে বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন ও হেনস্তা করে অভিযুক্ত আশিকুল্লাহ। একপর্যায়ে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে তার বহিষ্কারের দাবিতে বিভাগের অফিসের সামনে অবস্থান নেন। এসময় অভিযুক্ত আশিকুল্লাহ অফিসের ভেতরে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন।
পরে প্রক্টর গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এবং প্রশাসন ভবনে নিয়ে আসতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেয় এবং তাকে ক্ষমা চেয়ে যেতে হবে বলে দাবি জানালে পুনরায় তাকে বিভাগীয় অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর প্রক্টরের তত্ত্বাবধানে তাকে প্রশাসন ভবনে নিয়ে আসা হয়। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং আশিকুল্লাহর বহিষ্কারের দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।