চলমান দাবদাহ ও গ্রীষ্ম মৌসুমে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এজন্য রাত ৮টার পর শপিংমল ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা এবং এসি’র তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে রাখাসহ বেশকিছু নির্দেশনাও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিদ্যুৎ বিভাগ আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক সার্কুলারে এসব আহ্বান জানায়। বেআইনিভাবে ইজিবাইক ও মটরচালিত রিক্সার ব্যাটারি চার্জিং থেকে বিরত থাকার জন্যও দাবি করেছে সরকারের সংস্থাটি।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎখাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন সত্ত্বেও – চলমান দাবদাহে বিদ্যুতের চাহিদা ‘অস্বাভাবিক হারে’ বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদানে বিদ্যুৎ বিভাগ আন্তরিকভাবে কাজ করছে, এবং একইসাথে গ্রাহকদের আরও পরিমিত ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ ব্যবহারে আহবান জানাচ্ছে।
নিম্নহারে বিদ্যুৎ বিল সুবিধা পেতে দোকান, শপিং মল, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অতিরিক্ত বাতি ব্যবহারে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতেও বলেছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। আজ দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশব্যাপী বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ছিল বলে পিজিসিবি জানিয়েছে। যদিও একইসময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১২ হাযার ৭৫৩ মেগাওয়াট। এতে ঘাটতি তৈরি হয় ৩ হাজার ৪৪৭ মেগাওয়াট।
সরকারের বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে এই ঘাটতির ফলে গত কয়েকদিনে ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করতে হয়েছে।
দেশের ৮০ শতাংশ গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সূত্রগুলো জানায়, গতকাল দুপুর ৩টায় লোডশেডিং ২ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যায়। এসময় ৯ হাজার ৩১২ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া যায়।
খুলনা গেজেট/কেডি