করোনার কারণে প্রথম ধাপের স্থগিত থাকা খুলনার ৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। স্থানীয় এ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নির্বাচনের পূর্বে বিভিন্ন ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদী নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
খুলনা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের প্রথম ধাপে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা, কয়রা, দাকোপ, দিঘলিয়া ও পাইকগাছা পাঁচটি উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নে নির্বাচন হচ্ছে।
ইউনিয়নগুলো হচ্ছে খুলনার বটিয়াঘাটার গংগারামপুর, বালিয়াডাঙ্গা, আমিরপুর; কয়রার আমাদি, বাগালী, মহেশ্বরীপুর, মহারাজপুর, কয়রা, উত্তর বেদকাশী, দক্ষিণ বেদকাশী; দাকোপের পানখালী, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালী, কামারখোলা, তিলডাঙ্গা, বাজুয়া, বানিশান্তা।
এছাড়া দিঘলিয়া উপজেলার গাজীরহাট, বারাকপুর, দিঘলিয়া, সেনহাটি, আড়ংঘাটা ও যোগীপুল; পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা, রাড়ুলী, গড়ইখালী, গদাইপুর, চাঁদখালী, দেলুটি, লতা, লস্কর ও কপিলমুনি ইউনিয়ন।
খুলনা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ৩৪টি ইউপিতে প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ, র্যাব, কোস্ট গার্ড ও আনসার নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করছে।
তার দেওয়া তথ্যমতে, খুলনার ৩৪টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ১৫৬ জন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে প্রার্থী ৪৬৪ জন এবং ৩০৬ সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী রয়েছেন ৯ হাজার ৪৮৩ জন।
এরমধ্যে দাকোপের লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ যুবরাজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কয়রা উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে শেখ সোহরাব আলী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
খুলনার ৩৪টি ইউনিয়নে ৩২৭ কেন্দ্রের ১ হাজার ৯০০ ভোটকক্ষে ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৩ লাখ ২৩ হাজার ৩৮৩ জন ও পুরুষ ভোটার ৩ লাখ ১৭ হাজার ৩৯৬ জন।
এবারের ইউপি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো দুটি ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে। এরমধ্যে বটিয়াঘাটা উপজেলার গংগারামপুর ইউনিয়নের ১০টি ভোটকেন্দ্রের ৪৯ ভোটকক্ষে ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ১৪৭ জন এবং দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়নের ৯ কেন্দ্রের ৫৭ ভোটকক্ষে ১৯ হাজার ৪৮৫ জন ভোটার রয়েছেন।
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ইউপি নির্বাচন উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন করতে মাঠে পুলিশ, র্যাব কাজ করছে। ভোটারদের নিরাপত্তাসহ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের জন্য ৫ উপজেলায় ২ হাজার পুলিশ সদস্য মাঠে রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম