দেখতে ছোট হলেও লোকমুখে প্রচলিত বাজারের সবচেয়ে বড় মুদি দোকান। বাস্তবেও তাই। লোকজন তেল কিনতে গেলে নেই বলে প্রায়ই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তবে বেশি দাম দিলে মেলে তেল। বোতলজাত তেলের চেয়ে খোলা তেলের দাম একটু কম হলেও বিক্রি করা হচ্ছে সমান দামে। তাই তেল মজুদ করে লুকিয়ে রেখেছেন কবুতরের ফার্মে। এ ঘটনা ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার তাহেরহুদা ইউনিয়নের রামনগর বটতলা এলাকায়।
খবর পেয়ে সেখানে চালানো হয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান। মেলে তেল মজুদের খবরের সত্যতা।
হরিণাকুন্ডুর এসিল্যান্ড সেলিম আহম্মেদ বৃহস্পতিবার(১০ মার্চ) রাতের আধারে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
সেখানে দুই ব্যবসায়ীর গোডাউনে বিপুল পরিমাণ খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এ সময় কবুতরের ফার্মে লুকিয়ে রাখা বিধান শাহ নামে এক ব্যবসায়ির আড়াই হাজার লিটার তেল পাওয়া যায়। পাশেই জিন্দার আলী নামে কথিত আরও এক ছোট দোকানির তালাবদ্ধ গোডাউনে মেলে দুই হাজার ছয়শ‘ লিটার সয়াবিন তেল।
অবৈধভাবে তেল মজুদ করে কৃত্তিম সংকট তৈরির অপরাধে ব্যবসায়ী জিন্দার আলীকে ৫০হাজার টাকা এবং বিধান শাহকে ৪৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সাথে ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে মুচলেকা।
এসিল্যান্ড সেলিম আহম্মেদ জানান, দোকানিরা অবৈধভাবে তেল মজুদ করে কৃত্তিম সংকট তৈরি করছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দোকানে কোনো তেল না পেয়ে পরে একজনের কবুতরের ফার্মে এবং অন্যজনের দোকানের পিছনে লুকিয়ে রাখা গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে পাঁচ হাজার লিটার খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এ সময় ভোক্তা অধিকার আইনে তাদের একজনকে ৫০হাজার এবং অন্যজনকে ৪৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খুলনা গেজেট/ এস আই