কুয়েট কান্ডের জেরে খুলনায় হামলা চালানো হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা রাতুল হাসানের ওপর। এ ঘটনার প্রতিবাদ ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৬ টায় নগরীর সন্ধ্যা বাজার সংলগ্ন আজমিরী কাচ্চি কিচেনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা মহানগর ও জেলার নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর শাখার আহবায়ক শাহারিয়ার। তিনি বলেন, বুধবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে হোটেল সিটি ইনের পাশে দাড়িয়ে ছিলেন জেলার সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব রাতুল হাসান। এর কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন যুবক কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার সময়ে দুর্বৃত্তরা তাকে কুয়েটের ভিসির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু কিছু বলতে না পারায় তার ওপর অত্যাচারের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তিনি দৌড়ে সিটি ইন হোটেলের সন্নিকটে কুদুস নামে একটি রেস্টুরেন্টে আশ্রায় নেয়। পরবর্তীতে তিনি আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই। এর পরে থানায় খবর দেওয়া হলে থানার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে আশপাশে সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে। এ ঘটনায় রাতে থানায় রাতুল একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ভয়ভীতি, হামলা এবং দমননীতি কোনভাবে গনতান্ত্রিক পরিবেশের অংশ হতে পারেনা। আজ যদি রাতুলের রক্তে রাস্তায় বার্তা লেখা হয়, কাল তা আরও অনেক কন্ঠ রুদ্ধ করতে ব্যবহার করা হবে। সেখানে তিনি চারটি দাবি রখেন, সেগুলো হলো, অবিলম্বে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করতে হবে। সিসি টিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের স্বাক্ষ্য কাজে লাগিয়ে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে হবে। দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দিতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ আর প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে দমন করার সাহস না পায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতির নামে সন্ত্রাস এবং প্রশাসনের অপব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
এ দিকে এ ঘটনার ব্যাপারে জনাতে সোনাডাঙ্গা থানায় যোগাযোগ করা হলে এস আই আব্দুল হাই বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে দায়ের করা হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে আরও জানান।
খুলনা গেজেট/এএজে