ব্রিটেনের ৪০তম রাজা হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে তিনি এই শপথ নেন। এ সময় রাজা চার্লসকে এটা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানানো হয় যে, তার ক্ষমতার সময়ে আইন এবং চার্চ অব ইংল্যান্ডকে সমুন্নত রাখবেন। জবাবে পবিত্র গসপেলের ওপর হাত রাখেন রাজা চার্লস। প্রতিশ্রুতি দেন শপথের প্রতিশ্রুতি রক্ষার। পরে এক্সেসন ডিক্লেয়ারেশন শপথ নেন তিনি। এতে রাজা চার্লস বলেন, তিনি ধর্মবিশ্বাসে একজন প্রটেস্ট্যান্ট।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়েছেন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ জাস্টিন ওয়েলবি। তিনি বলেছেন, চার্চ অফ ইংল্যান্ড এমন পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করবে যেখানে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। এরপর তিনি রাজ্যাভিষেকের শপথ পরিচালনা করেন।
তিনি রাজা তৃতীয় চার্লসকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি তার শাসনামলে আইন এবং চার্চ অফ ইংল্যান্ডকে সমুন্নত রাখবেন। এরপর রাজ তার হাত পবিত্র গসপেলে হাত রাখেন এবং সকল অঙ্গীকার রক্ষার প্রতিজ্ঞা করেন।
এরপর রাজা তৃতীয় চার্লস দ্বিতীয় শপথ নেন। রাজা তৃতীয় চার্লস যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধান। শুধু যুক্তরাজ্য নয়, সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ বা কমনওয়েলথভুক্ত আরও ১৪টি দেশের রাজা হলেন চার্লস। তবে তার ক্ষমতা প্রতীকী এবং আনুষ্ঠানিক। তিনি রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেন।
প্রতিদিন ব্রিটিশ সরকারের কাজের রিপোর্ট তার কাছে লাল রঙের চামড়ার একটি বাক্সে করে পাঠানো হয়, যার মধ্যে থাকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বৈঠকের আগে সে সম্পর্কে ব্রিফিং, অথবা কাগজপত্র যাতে তার স্বাক্ষর করা প্রয়োজন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রতি বুধবার বাকিংহাম প্রাসাদে গিয়ে রাজার সঙ্গে দেখা করে তার সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে রাজাকে অবহিত করেন। এসব বৈঠক একান্ত ব্যক্তিগত এবং সেখানে যেসব কথাবার্তা হয় সেগুলোর আনুষ্ঠানিক কোনো রেকর্ড রাখা হয় না।
খুলনা গেজেট/এমএম