খুলনা, বাংলাদেশ | ১৬ মাঘ, ১৪৩১ | ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বর্তমান নেতৃত্ব ও ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে আলাদা না হলে আওয়ামী লীগকে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয়া হবে না : প্রেস সচিব
  ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ২১ জন

রাজশাহী রেলস্টেশন ভাংচুর করলেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

গেজেট ডেস্ক

রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে ট্রেন বন্ধ থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভাংচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। পরে তাঁরা টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে রেলস্টেশন ছাড়েন।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত স্টেশনে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেন কয়েকশ’ যাত্রী। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা টিকিট পরিদর্শকদের (টিটিই) একটি কক্ষের চেয়ার-টেবিল এবং স্টেশনে রাখা কিছু চেয়ার ভাংচুর করেন। অন্য কক্ষগুলোর দরজা তালাবদ্ধ ছিল। পরে সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে যাত্রীরা চলে যান।

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক ময়েন উদ্দিন আজ সকাল ৯টার দিকে বলেন, ‘যারা কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন, তাঁদের কাউন্টার থেকেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা অনলাইনে টিকিট কাটেন, তাঁদের টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে। এখন স্টেশনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে।’

ময়েন উদ্দিন আরও বলেন, গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মধ্যরাত থেকে আজ ভোর পর্যন্ত রাজশাহী থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার মতো ছিল না। তবে ভোর থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিভিন্ন গন্তব্যের ছয়টি ট্রেন ছিল। এসব ট্রেন ছেড়ে যায়নি। গতকাল দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু করা পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন মঙ্গলবার ভোরে রাজশাহী এসেছে।

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স (ভাতা) যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতার নিরসন না হওয়ায় গতকাল মধ্যরাত থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। এতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এই রানিং স্টাফরা হলেন গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)।

রাজশাহী রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রীয় কমিটির অংশ হিসেবে রাজশাহীতেও ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। আমাদের অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় কমিটি যখন কর্মবিরতি প্রত্যাহার করবে, তখন ট্রেন চলবে।’

আজ সকাল ১০টা নাগাদ কিছু যাত্রী স্টেশন ছেড়ে যাননি। তাঁরা স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। কী মীমাংসা হয়, তা দেখার জন্য বসে ছিলেন। দর্শনা থেকে নার্গিস বেগম (৪০) তাঁর স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে রাজশাহীতে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন। সকাল থেকে ট্রেনের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন।

আবদুল মান্নান (৬৪) নামে রাজবাড়ীর একজন যাত্রী বলেন, তিনি আগের দিন এসেছিলেন রাজশাহী শহরে ব্যক্তিগত কাজে। আজ সকাল থেকে তিনি স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কেটেছিলেন।

চুয়াডাঙ্গার মনিরুদ্দিন (৭৫) তাঁর স্ত্রীসহ ভোর পাঁচটা থেকে স্টেশনে বসে ছিলেন। তিনি বলেন, রাজশাহী শহরে চিকিৎসক দেখাতে এসেছিলেন। আসার সময় ফেরত টিকিট কেটে এসেছিলেন। এখন নিরুপায় হয়ে স্টেশনে বসে আছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!