গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও পাঁচজন মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় তিনজন এবং উপসর্গে নিয়ে দুজন মারা গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার মধ্যে তারা মারা যান।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে হাসপাতালে রাজশাহী, নাটোর ও কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন।
গত ২৪ ঘণ্টায় একজন করে মারা গেছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), কেবিন, ৩, ১৪, ১৭ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে। এই এক দিনে দুজন পুরুষ এবং তিনজন নারীর মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে। এদের মধ্যে চারজনের বয়স ৬১ বছরের ওপরে। এ ছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন মারা গেছেন।
এদিকে আরেক দফা শয্যা কমানো হয়েছে রামেক হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে। ২৮৬ শয্যা থেকে নামিয়ে ২৪০ শয্যায় আনা হয়েছে। রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত করোনা ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন ১৩৭ জন। এক দিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৫৯।
বর্তমানে রাজশাহীর ৬৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৫ জন, নাটোরের ১৫ জন, নওগাঁর ১৩ জন, পাবনার ১৬ জন, কুষ্টিয়ার ছয়জন, চুয়াডাঙ্গার পাঁচজন, জয়পুরহাটের একজন এবং মেহেরপুরের একজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৬ জন। করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ৫৫ জন। করোনা ধরা পড়েনি ভর্তি ২৬ জনের। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৩ জন।
এর আগে শনিবার রামেক হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৮ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ৩৭১ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৩ জনের।
পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ, নাটোরের ১২ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি নমুনায় করোনা ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি সেপ্টেম্বরের এই ১২ দিনে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৮০ জন। এর মধ্যে করোনায় ২৮ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৪৪ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে গত আগস্ট মাসে রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ৩৭৪ জন। এর মধ্যে করোনায় ১৫৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ১৮৬ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।