রাজশাহীতে দুইদিন ধরে চলছে বাস ধর্মঘট। তবে এবার নতুন করে শুরু হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও থ্রিহুইলারের ধর্মঘট।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকেই সড়কে অবাধ চলাচল ও হয়রানিমুক্ত রেজিস্ট্রেশনের দাবিতে রাজশাহীতে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলছে এ ধর্মঘট।
এদিকে বাস বন্ধের পর একমাত্র পরিবহন হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তিন চাকার যান। ভোর থেকে সেসব যান চলাচল বন্ধ আছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে তার সংখ্যা একেবারে কমে এসেছে। ফলে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে রাজশাহী।
এখন একমাত্র ট্রেনই যোগাযোগের মাধ্যম। সব পরিবহন ধর্মঘটের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়েছে যাত্রীরা। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা লোকদের হেঁটে রাজশাহী নগরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। এদিকে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে হেঁটে আসছেন নেতাকর্মীরা
হেঁটে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন মহিদুল ইসলাম নামের এক যুবক। তিনি বলেন, কোনো গাড়ি চলছে না। প্রায় ৩০ কিলোমিটার হেঁটে রাজশাহীতে এসেছি। এখনো হাঁটছি। হয়তো আর কিছুক্ষণের মধ্যে সমাবেশস্থলে পৌঁছাবো।
সিরাজগঞ্জ বিএনপির প্রচার সম্পাদক মকবুল বলেন, পরিবহন ধর্মঘট আমাদের সমাবেশে যোগদানে বাধা দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকার যতই বাড়াবাড়ি করুক, ক্ষমতা এবার ছাড়তেই হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের মাধ্যমে আমাদের কর্মসূচি থামবে।
সিএনজি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন ভুলু বলেন, সরকার বৈধভাবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা আমদানি করে। সেই সিএনজি বিক্রি করে সরকার লাভও করে। তবে আমাদের লাইসেন্স পেতে কেন ভোগান্তি হবে। প্রধান প্রধান সড়ক বাদে সব সড়কেই চলাচলে অনুমতি আছে। তবে কেন আমাদের হয়রানি করা হবে। লাইসেন্স ও হয়রানি মুক্তির দাবিতে ভোর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছি।
ভুলু আরও বলেন, বিএনপির সমাবেশর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এমনকি বাস মালিক সমিতির সঙ্গেও নয়। আমরা আমাদের যৌক্তিক কিছু দাবিতেই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি।
নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশের প্রত্যেক বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।
চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লার পর ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ করবে দলটি। রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে সমাবেশের আয়োজন চলছে। এটি বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।