রাজধানীর বংশালের আরমানিটোলার হাজী মুসা ম্যানসনে আগুন লাগার ঘটনায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন সাফায়েত হোসেন (৩৫) নামের আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন সাফায়েত। এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা পাঁচজনে দাঁড়িয়েছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সাফায়েত হোসেন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরমানিটোলার ওই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি ২০ জনের মধ্যে আশিকুজ্জামান, ইসরাত জাহান মুনা, সাফায়েত হোসেন ও খোরশেদ আলম নামের চারজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সাফায়েত হোসেনসহ দুজনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
সামন্ত লাল সেন গত ২৩ এপ্রিল বলেছিলেন, ‘ভর্তি হওয়া বাকি ১৬ জনকে ইউনিটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়েছে। ভর্তি ২০ জনেরই শ্বাসনালী পুড়ে গেছে। এখনি কাউকে শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। ভর্তি ২০ জনের ১৫ থেকে ২২ ভাগ দগ্ধ হয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে হাজী মুসা ম্যানশন নামের ভবনটির নিচতলায় আগুন লাগে। এরপর গত শুক্রবার সকাল ৯টার পর আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট প্রায় ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ঘটনাস্থলে যে চারজন মারা যান তাঁরা হলেন- ভবনের নিরাপত্তারক্ষী ওয়ালিউল্লাহ, দোকান কর্মচারী রাসেল মিয়া, ভবনের চারতলার বাসিন্দা শিক্ষার্থী সুমাইয়া এবং ওয়ালিউল্লাহ কাছে বেড়াতে আসা কবীর নামে আরেকজন।
অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আশিকুজ্জামান (৩৩), তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহান মুনা (৩০), শ্বশুর ইব্রাহিম সরকার (৬০), শাশুড়ি সুফিয়া বেগম (৫০), শ্যালক জুনায়েদ (২০), ইউনুস মোল্লা (৬০), সাকিব হোসেন (৩০), সাখাওয়াত হোসেন (২৭), চাষমেরা বেগম (৩৩), দেলোয়ার হোসেন (৫৮), আয়সাপা (২), খোরশেদ আলম (৫০), লায়লা বেগম (৫৫), মোহাম্মদ ফারুক (৫৫), মেহেরুন্নেসা (৫০), মিলি (২২), পাবিহা (২৬), আকাশ (২২) ও আসমা সিদ্দিকা (৪৫)।
খুলনা গেজেট/এনএম