মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী আনুশকা নূর আমিন ওরফে শাহনূরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নিহতের প্রেমিক ইফতেখার ফারদিন দিহানকে আটক করেছে পুলিশ। সেইসাথে আনুশকার আরো তিন সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ডিএমপির নিউ মার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার আবুল হাসান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। এছাড়া দিহানের বাসা থেকেও উদ্ধার হওয়া আলামতে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দিহানকে আটক করা হয়েছে। সেইসাথে আরো তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরো বলেন, দিহান মাস্টারমাইন্ড স্কুল থেকে এ লেভেল শেষ করেছে। আর আনুশকা ও লেভেলের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলাবাগান থানা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটিকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ফোন করে দিহানের বাসায় ডেকে নেয় চার বন্ধু। দুপুরে মেয়েটির রক্তক্ষরণ শুরু হলে বন্ধুরাই তাকে প্রথমে আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা মেয়েটির অবস্থা বেগতিক দেখে থানায় ফোন করে জানান। পরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে ওই চার জনকে আটক করে। সেইসাথে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, ওই শিক্ষার্থী তার প্রেমিক দিহানের বাসায় যান। সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়লে দিহান নিজেই তাকে হাসপাতালে নেন। তাদের মধ্যে দুই মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। তবে তদন্তে সঠিক বিষয়টি জানা যাবে।
খুলনা গেজেট /এমএম