সিটিং সার্ভিস বা গেটলক সার্ভিস, সরকার-নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চালকদের একটি অংশ বাস চালানো বন্ধ করে দেন। হঠাৎ করে বাস থেকে পথের মধ্যে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েন নারী, শিশু, বয়স্কসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে কয়েকটি বাস চলাচল করলেও তা কিছু সময় পর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এতে দিনের শুরুতেই ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে কর্মব্যস্ত শহরের বাসিন্দাদের। উপায় না থাকায় অনেককেই হেঁটে গন্তব্যের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়। আবার অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
সকালে মিরপুর-১২, মিরপুর-১০, মিরপুর-১১, মিরপুর-১সহ কালশী ও ইসিবি চত্বর এলাকায় বাস চলাচল কম দেখা যায়। এ ছাড়া শাহবাগ, ফার্মগেট, বিমানবন্দর ও আবদুল্লাহপুরেও বাস সংকটের জন্য যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়েন। মিরপুর থেকে উত্তরা রুটে বাসের দেখা মিললেও বাড্ডা, নতুন বাজার রুটের কোনো বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। মিরপুর ১০ নম্বরে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থেকে এ রুটের এক যাত্রী চেপে বসেছেন উত্তরা রুটের গাড়িতে। পথে নেমে তিনি বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যাবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চালক বলেন, মালিকপক্ষ থেকে গাড়ি বন্ধ করার বিষয়ে কোনো কিছু বলা হয়নি। ভাড়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরেই আমাদের স্টাফরা গাড়ি বন্ধ রেখেছেন।
রবিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে রাজধানীতে কোনো ধরনের সিটিং সার্ভিস বা গেটলক সার্ভিস বাস থাকবে না বলে জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। এরপর কয়েকদিন পার হলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
এ অবস্থায় বাড়তি ভাড়া আদায় নিয়ে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে মিরপুরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান যাত্রী ও চালকরা। এরই জেরে ওইদিন দুপুর ২টার পর থেকে মিরপুর এলাকায় সব বাস চলাচল বন্ধ করে দেন পরিবহন শ্রমিকরা। যার রেশ বুধবার (১৭ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনে গড়াচ্ছে।