চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বা শুক্রবার (২৪ মার্চ) থেকে শুরু হবে এবারের রমজান। পুরো রমজান মাস জুড়েই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ পর্যায়ে ছুটি থাকবে। আর রমজানের অর্ধেক সময় জুড়ে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে। অর্থাৎ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রমজানে ক্লাস চলবে ১৫ দিন। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিন্ন ছুটির দাবি জানিয়েছেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা।
অভিভাবকরা জানান, অনেকে ভাবেন প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা ছোট, ওরা রোজা রাখে না। তাই ক্লাস হলে সমস্যা নেই। কিন্তু তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির অনেক শিক্ষার্থী রোজা রাখেন। এছাড়া শিশু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনা-নেওয়া ও লেখাপড়ার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। রোজা রেখে সন্তানদের স্কুলে আনা নেওয়া কষ্টের। একই কষ্ট শিক্ষকদের। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকরা ছুটিতে কাটাবেন কিন্তু প্রাথমিকের শিক্ষকরা ক্লাস নিবেন, এটা কেউ মানতে পারছেন না।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ছুটির তালিকা অনুযায়ী, আগামী ২৩ মার্চ থেকে সরকারি-বেসরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রমজানের ছুটি শুরু হবে। ঈদুল ফিতরের ছুটিসহ মোট এক মাস পাঁচদিন এই ছুটি চলবে। আগামী ২৭ এপ্রিল সারাদেশে এ স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। এই সময়ের মধ্যে স্টার সানডে, চৈত্র সংক্রান্তি, বাংলা নববর্ষ, জুমাতুল বিদা, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতরের ছুটিও থাকবে। কলেজ ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছুটি শুরু হচ্ছে ২৩ মার্চ। আর মাদ্রাসায় রোজার ছুটি শুরু আজ বুধবার (২২ মার্চ) থেকে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছেন, বছরের শুরুতেই ছুটির তালিকা স্কুলগুলোতে পাঠিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই সূচি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রমজানের শুরু থেকেই বন্ধ থাকবে।
অন্যদিকে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হবে আগামী ৭ এপ্রিল থেকে। ছুটি
চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন মাধ্যমিক সংযুক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোও ছুটি হবে ২৩ মার্চ থেকে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, রমজানের ১৫ দিন ক্লাস চালুর বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এটা এই মন্ত্রণালয়ের প্র্যাকটিস। এছাড়া করোনাকালীন শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে প্রাথমিক স্কুলে গতবছর থেকে ছুটির ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে।