ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমদানিতে কর বৃদ্ধি করায় এবার রমজানে বাড়বে খেজুরের দাম। এতে ভোক্তারা থাকবেন কষ্টে। রোববার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর ভোক্তা অধিদপ্তরে ‘পবিত্র জমজমের পানি, রিয়াজুল জান্নাহ নামে জায়নামাজ, আতর, খেুজর ইত্যাদি পণ্য বিক্রয়কারী’ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এই কথা জানান তিনি।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে এমনিতেই কমেছে আমদানি। সেটার ওপর অতিরিক্ত কর আরোপের কারণে রমজানে খেজুরের দাম বেড়ে যাবে। এতে বিলাসবহুল পণ্যের মতো ট্যাক্স বসানো হয়েছে। ফলে আসন্ন রোজায় ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে তা সরবরাহ করতে পারবেন না। স্বাভাবিকভাবেই ফলটির দর বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, গত বছরে এসময়ে আমি ২১ হাজার মেট্রিক টন খেজুর আমদানির জন্য এলসি খুলেছিলাম। এবার এখনও ৭ হাজার টনের জন্যও তা করতে পারিনি। কারণ, পণ্যটি কিনতে অতিরিক্ত ১৫ থেকে ১৬ কোটি টাকা বেশি লাগবে। কোথায় পাবো এত টাকা? আমরা খুব কম লাভে পাইকারের কাছে খেজুর সরবরাহ করে থাকি।
অনলাইনের প্রতারণা নিয়ে ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি বলেন, আপনারা খেজুর বিক্রি, ব্যবসা করেন, সব ঠিক আছে। কিন্তু ব্র্যান্ড নকল করবেন না। ৫ থেকে ১০ কেজির প্যাকেট আনতেও আমাকে ভ্যাট লাগে। আর আপনি অনলাইন খুলে ব্যবসা করছেন। কিন্তু তা দিচ্ছেন না। এটা হতে পারে না। সৌদি আরব কিংবা মদিনার বাগানের কথা বলে খেজুর বিক্রি করেন, এটাও প্রতারণা।
এসময় পবিত্র জমজম কূপের পানি, রিয়াজুল জান্নাহ জায়নামাজ, আতর ব্যবসায়ীদের ধর্মীয় অনুভুতিকে পুঁজি করে ব্যবসা না করার আহ্বান জানান বক্তারা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মোনওয়ার হোসেন, উপপরিচালক আতিয়া, সহকারী পরিচালক (ঢাকা বিভাগ) আব্দুল জব্বার মন্ডল, ক্যাবের ট্রেজারার ড. মনজুর ই খোদা, ট্যারিফ কমিশনের গবেষক আরিফুজ্জামান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/কেডি