মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ডুবে যাওয়া ফেরী রজনীগন্ধা-৭ উদ্ধারে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছে বিআইডব্লিউটি এর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হামজা দৌলতদিয়া ঘাট থেকে পাটুরিয়ায় যাচ্ছে। আর রুস্তমও রওনা হয়েছে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাট থেকে।
“আরিচা নদী বন্দরের উদ্ধারকারী দল সেখানে উদ্ধার কার্যক্রমে যোগ দিয়েছে। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তাফা এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধার কার্যক্রমের তদারকি করতে ইতোমধ্যে রওনা দিয়েছেন।”
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, ইউটিলিটি ফেরি ‘রজনীগন্ধা’ মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে দৌলতদিয়া থেকে সাতটি ছোট ট্রাক এবং দুটি বড় ট্রাক নিয়ে পাটুরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। কিন্তু পাটুরিয়ার কাছাকাছি গিয়ে ঘন কুয়াশার কারণে নদীতে নোঙ্গর করে। সকাল ৮টার দিকে ফেরিটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “একটি ছোট মালবাহী জাহাজ ফেরিটিকে ধাক্কা দিলে সেটি ডুবে যায়। ফেরির সহকারী চালককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।”
নিখোঁজ হুমায়ূন কবির (৩৯) ওই ফেরির সেকেন্ড ড্রাইভার ছিলেন। তার সন্ধানে ফায়ার সার্ভিস তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কেন্দ্রীয় মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।
তিনি বলেন, “ফেরিটি উল্টে গিয়ে বেশ কিছু অংশ দীর্ঘসময় পানির ওপরে ভাসমান ছিল। পরে সেটি পুরোপুরি ডুবে যায়। ফায়ার সার্ভিস সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে।”
উদ্ধারকারী জাহাজ ‘হামজা’ ও ‘রুস্তম’ পৌঁছালে ফেরিটি তোলার কাজ শুরু হবে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম