রওশন এরশাদকে সরিয়ে জিএম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত করেছে জাতীয় পার্টি। দলের কাউন্সিলর ‘ডাকার’ চিঠি প্রত্যাহারে রাজি না হওয়ায় থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন রওশন এরশাদকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে জাপার সংসদীয় দল।
জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে স্পিকার ড. শিরিন শারমিনকে ইতোমধ্যেই চিঠি দিয়েছে জাতীয় পার্টি। স্পিকারের অনুমোদন পেলে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বিরোধীদলীয় নেতার পদে বসবনে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিরোধীদলীয় চিফহুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ স্পিকারের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর হাতে চিঠি দেন। এ সময় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, দলীয় এমপি ফখরুল ইমাম, আহসান আদেলুর রহমানসহ কয়েকজন ছিলেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, দলের ২৬ এমপির ২৪ জন বিরোধীদলীয় নেতা পদে জিএম কাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন। রওশন এরশাদ দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও এমপি পদে থাকবেন।
এর আগে বুধবার চিঠি দিয়ে জাপার কাউন্সিল ‘ডাকেন’ থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। আগামী নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে নিজেকে কাউন্সিলর প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ঘোষণা করেন।
এরপরই তাৎক্ষনিক বিবৃতিতে জাপা জানায়, দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের কাউন্সিল আহ্বান ও আহ্বায়ক কমিটি গঠনের ঘোষণার এখতিয়ার নেই। তার চিঠি অবৈধ, অনৈতিক ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।
এদিকে বৃহস্পতিবার দলীয় বৈঠকের পর সংসদে জাপার সংসদীয় দলের বৈঠক হয়। এতে রওশন এরশাদ ও তার ছেলে রাহগীর আল মাহি এরশাদ সাদ বাদে বাকি ২৪ এমপি অংশ নেন।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, রওশন এরশাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। তাকে বুধবারের চিঠি প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হয়। তিনি রাজি হননি। এ কারণে দলীয় এমপিরা তাকে বিরোধীদলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। রওশন এরশাদ বছরখানেক ধরে অসুস্থ। তিনি সংসদীয় কার্যক্রমে সক্রিয় নন। একজন সার্বক্ষনিক বিরোধীদলীয় নেতা প্রয়োজন। সে কারণেই জিএম কাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
এদিকে এরশাদপত্নী রওশনকে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া বা তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না বলে জাপা সূত্র জানিয়েছে। এই সূত্র জানায়, রওশনের প্রতি এখনও সরকারের সহানুভূতি ও সমর্থন রয়েছে। তাকে সরিয়ে স্পিকার জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় নেতার স্বীকৃতি শিগগির নাও দিতে পারেন।