খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ মাঘ, ১৪৩১ | ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে রিভিউ শুনানি ৯ ফেব্রুয়ারি

যৌন হয়রানির অভিযোগে এ পর্যন্ত খুবির চার শিক্ষক চাকুরিচ্যুত, বিব্রত সহকর্মীরা

অনন্ত রহমান

১৯৯১ সালের ৩১ আগষ্ট থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। সেই থেকে এ পর্যন্ত সেশনজটহীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চাকুরিচ্যুত হয়েছেন চার শিক্ষক। সর্বশেষ গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রভাষক ছোটন দেবনাথের বিরুদ্ধে তারই এক সহকর্মী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন। বর্তমানে একাডেমিক কার্মক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা বলছেন, সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে শিক্ষা দিতে এসে যৌন হয়রানির মতো অপরাধের সাথে শিক্ষকদের জড়িয়ে যাওয়া বিকৃত মানুষিকতাই প্রমাণ করে। এক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগে অস্বচ্ছতা ও লেজুরবৃত্তির রাজনীতিকেও দুষছেন তারা।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, ছাত্রীদের নানাভাবে উত্যক্ত, আপত্তিকর প্রস্তাব এমনকি সরাসরি যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১২ সালে অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ড. সাইফুল ইসলাম, ২০১৩ সালে বাংলা বিভাগের আনিসুর রহমান, ২০১৬ তে অ্যাগ্রো ডিসিপ্লিনের আমিনুল ইসলাম ও পরের বছর গণিত বিভাগের মোঃ শরীফ উদ্দিনকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচিত গত বুধবার নিজ সহকর্মীকে যৌন হয়রানির অভিযোগটি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আশিষ কুমার দাস জানান, শিক্ষকদের এ ধরণের অপরাধ নিন্দনীয় ও ঘৃণিত।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন সেলের দায়িত্বে রয়েছেন সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক মোছা. তাসলিমা খাতুন। একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের মতো অপরাধের তদন্ত করতে গিয়ে নিজেও বেশ বিব্রত। তবুও যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নীতিমালা-২০০৮ অনুযায়ী তদন্ত করছেন তিনি।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন জানান, শিক্ষকরা হচ্ছেন সমাজের আদর্শ। তারা বিচ্যুতি হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গোটা সমাজে। সেক্ষেত্রে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সেশনজটহীন, রাজনীতিমুক্ত ও গবেষণার জন্য পরিচিতি রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই পরিবেশ অপরিবর্তিত রাখতে হলে শিক্ষকদের আরো বেশি ইতিবাচক কাজে মনোনিবেশের ওপর গুরুত্ব করেছেন শিক্ষাবিদরা।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!