তরুণীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে টলিউড অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন রুদ্রনীল। তার দাবি—এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
নীলাঞ্জনা পাণ্ডে নামে ওই তরুণী রুদ্রনীলের প্রোডাকশন হাউজে কাজ করতেন। তা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন—‘কয়েক বছর আগে, রুদ্রনীলের কু-প্রস্তাব না মানায় তার প্রোডাকশন হাউজ থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। আমার প্রাপ্য টাকাও দেওয়া হয়নি। সেদিন ইন্ডাস্ট্রিতে নিউকামার ছিলাম। আজ প্রশ্ন উঠতে পারে, কেন সেদিন বিচার চাইনি? আসলে তখন ভয় পাইনি, কিন্তু বিচারের জন্য একজন নিউকামারকে কীভাবে এগোতে হবে তা জানতাম না।’
নীলাঞ্জনা রুদ্রনীলের প্রোডাকশন হাউজে কাজ করতেন বলে দাবি করলেও তা মনে করতে পারছেন না রুদ্রনীল। তা ছাড়া এই নামে কেউ তার প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন কিনা তা ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মীও নিশ্চিত করতে পারেননি বলে দাবি করেছেন রুদ্রনীল। তবে এই ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে রুদ্রনীল বলেন—‘এ ধরনের ঘটনা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এখন যা-ই হচ্ছে, তার সঙ্গে রাজনীতি জড়িয়ে আছে। এ ভাবে আর একজনের নাম টেনে আনছে মানেই গোলমাল রয়েছে।’
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে কেউ কখনো তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেননি। তা উল্লেখ করে রুদ্রনীল বলেন, ‘এত বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি, কেউ তো কখনো আমার বা প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে এমন ভয়ানক অভিযোগ করেননি। তবে আজকেই কেন? এখানেই সব স্পষ্ট হয়ে যায়, এতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে।’
‘রুদ্রনীল, এই পোস্টের কথা জানার পর তুমি সাইবার ক্রাইম সেলে যাও, আমার বিরুদ্ধে মামলা কর, আমি সেসবের পরোয়া করি না। কিন্তু মনে রেখো, এই তোমার পতনের শুরু।’—কথাগুলো ফেসবুকে লিখেন নীলাঞ্জনা। আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে কী ভাবছেন রুদ্রনীল? এ বিষয়ে তিনি বলেন— ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সন্তানের মা বলে দাবি করেছিলেন এক মহিলা। তিনি কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিলেন? রাজনৈতিক মানুষের বিরুদ্ধে ১০টা লোক ১০টা কথা বলে। দৌড়াদৌড়ি করে লাভ নেই। আর মহিলা খুব ভালো করেই জানেন যে, আমি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করব না, তাই তিনি লিখেছেন।’
খুলনা গেজেট/কেএম