সাবেক গৃহকর্মীকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগকে মিথ্যা, ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্রমূলক হিসেবে দাবি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: শাহজাহান। আজ (শুক্রবার) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ড. মো: শাহজাহান বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি সবসময় অন্যায় ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন এবং প্রতিবাদ করেছেন। ইতিপুর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক একজন উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি-স্বজনপ্রীতির বিরোধীতা করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে কলংকমুক্ত করতে অবদান রেখেছিলেন এবং বর্তমান উপাচার্যকেও প্রশাসনিক কাজে সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিতে অবদান রাখছেন। কিন্তু বর্তমানে সেই সাবেক উপাচার্যের কিছু সুবিধাবাদী চক্র তার ভারপ্রাপ্ত (রুটিন দায়িত্ব) ভাইস-চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পালনের সময় অবৈধ সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে। আর এর জেরে তার কর্মের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তার বিরুদ্ধে এক গৃহকর্মীকে যৌন হয়রানীর বিষয় উল্লেখ করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে এবং বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে, যা তার জন্য অত্যন্ত অমর্যদাকর এবং সামাজিক ও পারিবারিকভাবে সম্মানহানির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
এসময় তিনি আরও বলেন, “এভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন অব্যহত থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকরা তাদের কাজের পরিবেশ হারাবে তাই আমি চাই এই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত হোক এবং যেই দোষী হোক তাকে বিচারের আওতায় আনা হোক।”
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহানের সাথে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন। অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “অভিযোগকারী গৃহকর্মী সবসময় আমার দুই মেয়ের সাথে থাকতো তাই তিনি যেমনটা দাবি করেছেন এমন কিছু ঘটা সম্ভব নয়। তার এই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বুধবার বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড. একিউএম মাহবুব বরাবর প্রফেসর ড. মো: শাহজাহানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দেন ড. মো: শাহজাহানের সাবেক গৃহকর্মী। ওই গৃহকর্মী দাবি করেন, প্রফেসর ড. মো: শাহজাহান একাধিকবার তাকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করে। তবে অভিযোগকারী গৃহকর্মী বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কেউ না হওয়ায় উপাচার্য অভিযোগটি গ্রহণ করেননি।
খুলনা গেজেট/এনএম