যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনজন গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। সম্পর্কে তারা একে অপরের বোন এবং তাদের একই পরিবারে বিয়ে হয়েছিল। দুই সন্তানসহ তারা আত্মহত্যা করেন।
মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থান রাজ্যে। শনিবার (২৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত ওই তিন বোনের নাম কালু মিনা (২৫), মমতা (২৩) এবং কমলেশ (২০)। তাদের মধ্যে দুইজন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এছাড়া তাদের সাথে আত্মহত্যা করা অন্য দুই শিশুর একজন ৪ বছরের ছেলে এবং অন্যজন ২৭ দিনের নবজাতক।
এনডিটিভি বলছে, কালু মিনা, মমতা এবং কমলেশের রাজস্থানের দুদু জয়পুর জেলার চাপিয়া গ্রামে একই পরিবারের তিন ভাইয়ের সাথে বিয়ে হয়েছিল। তাদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে ওই তিন বোনকে নিয়মিত হয়রানি এমনকি মারধরও করত।
জি নিউজ বলছে, গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল ওই ৫ জন। পরে শনিবার ওই ৩ জনের শ্বশুরবাড়ির কাছে ওই কুঁয়া থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনার পর ৩ নারীর স্বামী ও তাদের বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, তিন নারীর সাথে মৃত দুই শিশু হচ্ছে কালী দেবীর ৪ বছরের সন্তান হারসিত ও মাত্র ২৭ দিনের এক শিশু। অন্যদিকে মমতা ও কমলেশ সন্তানসম্ভবা ছিলেন।
মৃত ৩ বোনের বাবার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাদের ওপর অত্যাচার করা হতো। দুই সপ্তাহ আগে শ্বশুর বাড়ির মারধরে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় কালী দেবীকে। তার চেখে গুরুতর আঘাত লাগে। কয়েকদিন আগেই তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ফিরেছিলেন।
উল্লেখ্য, নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা করতেন ৩ বোন। কালী দেবী স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষে পড়তেন, মমতা রাজ্য পুলিশের পরীক্ষায় পাস করেছিলেন এবং কমলেশ ভর্তি হয়েছিলেন এক কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।