সুস্থ থাকার অন্যতম উপায় হল সুষম খাবার খাওয়া। ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ খাবার নিয়ম করে খাওয়া জরুরি। চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরাও সেই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এমনিতে স্বাস্থ্যকর উপাদানের শেষ নেই। সেই তালিকায় অবশ্য অনেকটাই এগিয়ে আছে ফাইবার।
সুষম ডায়েটের বেশ খানিকটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই উপাদান। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফাইবারের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। হজম ঠিকঠাক হলে রোগা হওয়া কঠিন কোনো বিষয় নয়।
দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয়— ফাইবার দু’রকমের হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা জানাচ্ছে, শরীরের জন্য এই ধরনের ফাইবার সমান উপকারী। ফাইবার যে শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করে, তা নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ফাইবারের জুড়ি মেলা ভার। দ্রবণীয় ফাইবার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং হার্ট ভালো রাখে। আবার দ্রবণীয় ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমায়।
আপেল : স্বাস্থ্যকর ফলের তালিকায় আপেলের স্থান যে উপরের দিকে, তা অজানা নয়। তবে আপেল খেলে হজমের গোলমাল কম হয়, সে তথ্য অনেকের কাছেই নতুন। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। হজমশক্তি ভাল রাখতে আপেল উপকারী বিকল্প হতে পারে।
বিট : মিনারেলস, ম্যাঙ্গানিজ, ফোলেট, আয়রনের মতো উপকারী উপাদান সমৃদ্ধ বিট হজমের গোলমাল ঠেকায়। হজমের সমস্যায় ভুগলে বিট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। বিট উচ্চ রক্তচাপের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বাদাম : কাঠবাদাম, আখরোটে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার। ডায়াবেটিস থাকলে নিয়ম করে এই বাদাম খেতে পারেন। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা বশে রাখতেও ফাইবারে সমৃদ্ধ বাদাম খুবই উপকারী।
কলা : কলা খেলে ওজন বাড়লেও, এই ফল কিন্তু পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কলায় রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, আয়রনের মতো উপকারী উপাদান। এছাড়াও ফাইবারে সমৃদ্ধ কলা দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। ফলে হজমের গোলমাল হওয়ার সুযোগই থাকে না।
মটরশুটি : পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে মটরশুটি। ফাইবারে সমৃদ্ধ উৎস হল এই সবজি। ফাইবার হজমের গোলমাল দূর করে শরীর সুস্থ রাখে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে। মটরশুটি খাওয়ার আরও সুফল রয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা থেকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো, মটরশুটি সত্যিই কার্যকর।
খুলনা গেজেট/এনএম