সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আটক করা ইসরাইলি বন্দিদের মধ্য থেকে ১০ থেকে ১৫ জন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় তিন দিনের যুদ্ধবিরতি হতে পারে।
এ বিষয়ে কাতারের মধ্যস্থতায় ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে। খবর আলজাজিরা।
ঠিক কতজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে তিন দিনে যুদ্ধবিরতি হতে পারে তা এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে— ১০ থেকে ১৫ জনের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় স্বল্প মেয়াদে এ যুদ্ধবিরতি হতে পারে।
আলজাজিরা বলছে, নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আলোচনার এই পর্যায়ে বন্দিদের সঠিক সংখ্যা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বন্দিদের মধ্যে আপাতত ১০ থেকে ১৫ জন মুক্তি পেতে পারে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভবত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক বিল বার্নস অংশ নিয়েছেন। মুক্তির শর্ত পূরণ করলেই গাজায় সাময়িক যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হতে পারে ইসরাইল।
হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এএফপি বলছে, ‘এই আলোচনা মূলত ‘তিন দিনের মানবিক বিরতির বিনিময়ে ১২ বন্দির মুক্তিকে কেন্দ্র করে চলছে। যাদের মধ্যে অর্ধেক বন্দিই আমেরিকান।’
আলজাজিরার সাংবাদিক অ্যালান ফিশার জানিয়েছেন, ‘বৈঠকে অনেক আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। তবে আপনাকে এটি মনে রাখতে হবে যে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলেছেন, সব বন্দিকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি হবে না।’
হামাসের হাতে আনুমানিক ২৪০ বন্দি রয়েছে। তাদের মুক্তিবিষয়ক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে কাতার। সম্প্রতি চার বন্দিকে হস্তান্তরের বিষয়েও তাদের ভূমিকা রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে আকস্মিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে এক হাজার ৪০০ জনকে হত্যা করে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
এ ছাড়া প্রায় ২৫০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে যায় তারা। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র চারজনকে মুক্তি দিয়েছেন হামাসযোদ্ধারা।
খুলনা গেজেট/এনএম