যদিও বেশিরভাগ মানুষ আমাদের কাছে ভালো বলে মনে হতে পারে, কিন্তু সবাই আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষী নয়। যত তাড়াতাড়ি এটা বুঝতে পারবেন, ততই ভালো। তাদের বেশিরভাগই কেবল আমাদের বন্ধু হিসেবে ভান করে, কিন্তু তাদের হৃদয়ে আমাদের জন্য ভালো উদ্দেশ্য নাও থাকতে পারে। হোক তা আত্মীয়, বন্ধুবান্ধব, অথবা সহকর্মী। মনোবিজ্ঞান অনুসারে অন্যদের সঙ্গে কিছু বিষয় শেয়ার করা উচিত নয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
লক্ষ্য অর্জনের আগে
মনোবিজ্ঞানীরা বলেন যে, আপনার লক্ষ্য সম্পর্কে খুব বেশি কথা বললে তা আপনার মস্তিষ্ককে সাফল্যের মিথ্যা অনুভূতিতে প্ররোচিত করতে পারে। এটিকে সামাজিক বাস্তবতা বলা হয়। যার অর্থ হলো, আপনার মস্তিষ্ক বাস্তবে অর্জন না করেই সাফল্য সম্পর্কে কথা বলার জন্য আপনাকে উৎসাহী করতে পারে। এটি প্রেরণা হ্রাস করে এবং অর্জনের পথ থেকে বিচ্যুত করে। লক্ষ্য গোপন রাখলে তা কাজে মনোনিবেশে সাহায্য করে।
আয় কিংবা সম্পদের বিবরণ
আপনার আয়, সম্পদ বা আর্থিক অবস্থা প্রকাশ্যে আলোচনা করলে সম্পর্কের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় উত্তেজনা বা তুলনা হতে পারে, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে। এ ধরনের আলাপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঈর্ষা বা শ্রেষ্ঠত্বের অনুভূতি জাগায়। তাই এগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো। সম্প্রীতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রাখার জন্য আপনার আর্থিক বিষয়গুলো গোপন রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ, যদি না তা একান্ত প্রয়োজন হয়।
সম্পর্কের রোমান্টিকতা
বন্ধুদের আপনার সম্পর্কের কিছু দিক শেয়ার করা স্বাভাবিক হলেও, অতিরিক্ত শেয়ারিং বিপরীত হতে পারে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, বাইরের লোকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে ক্রমাগত আলোচনা করলে অজান্তেই প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে। এটি আপনার প্রতি সঙ্গীর আস্থা কমিয়ে দিতে পারে। তাছাড়া বেশিরভাগ মানুষ আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার পরিবর্তে আপনাকে জাজ করতে পারে। তাই সম্পর্কের গোপনীয়তা রক্ষা করুন।
নিজের ভালো কাজ
নিজের ভালো কাজ বা সদয়তার কথা বললে অন্যরা ভাববে আপনি নিজেকে নিয়ে গর্ব করছেন। এর ফলে অনেক অপ্রয়োজনীয় বিচার এবং তুলনার সৃষ্টি হয়। তাই, গোপনে ভালো কাজ বা দান করা সবসময় ভালো। মনে রাখবেন, নীরবে দান করাই সবচেয়ে ভালো। এটি কেবল অন্যদের সাহায্য করে না বরং তোমার অহংকারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
খুলনা গেজেট/এএজে