ব্রাজিলকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্রোয়েশিয়া চলে গেছে বিশ্বকাপের শেষ চারে। ব্রাজিল আজকের ম্যাচে ছিল খানিকটা ছন্দহীন। এজন্য অবশ্য ক্রোয়েশিয়া কোচ জ্লাটকো ডালিচ তার রক্ষণভাগকে বেশি কৃতিত্ব দিয়েছেন।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ক্রোয়েশিয়ার কোচ তার মিডফিল্ডকে বিশ্বসেরা আখ্যায়িত করে বলেন, ‘আমার দল মিডফিল্ডে সেরা। শুধু সেরা নয়, বিশ্বসেরাই বলব।’ বিশ্বসেরা মিডফিল্ডের কারণ ব্যাখাও করেছেন তিনি, ‘আমার মিডফিল্ডারদের যেমন গতি রয়েছে তেমনি আবার প্রতিপক্ষের গতিও রোধ করতে পারে। ব্রাজিলকে মিডফিল্ডে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে আমার ফুটবলাররা।’
ক্রোয়েশিয়ার দলের মধ্যমাঠের প্রাণ লুকা মড্রিচ। ৩৭ বছর বয়সে এখনো দুর্বার রাশিয়া বিশ্বকাপের গোল্ডেন বল বিজয়ী। দলকে যেভাবে নেতৃত্বে দেন তেমনি নিজেও দারুন খেলেন। তাই তো সেমিফাইনালে উঠার পর লুকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ডালিচ, ‘এক কথায় সে অসাধারণ। তার নিবেদন অত্যন্ত উঁচু মানের। পুরো সময় তিনি অত্যন্ত পরিশ্রম করে। নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা সর্বাত্মক। তিনি যতদিন ফিট আছেন ক্রোয়েশিয়া দলে খেলে যাবেন।’
এই বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়াকে কেউ আলোচনায় রাখেনি। সেই ক্রোয়েশিয়া এখন সেমিফাইনালে। টানা দুই ম্যাচ টাইব্রেকারে জিতে তারা শেষ চারে। টাইব্রেকারে ম্যাচ নিয়ে যাওয়া তাদের কৌশল কি না এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘টাইব্রেকার আমাদের অন্যতম শক্তি। তবে আমরা ম্যাচেও নিয়ন্ত্রণ রাখি।’
মিডফিল্ডকে সেরা বললেও আজকের ম্যাচের নায়ক মূলত ক্রোয়েট গোলরক্ষক লিভাকোভিচ। গোলরক্ষকই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন বলে স্বীকার করলেন কোচ, ‘নিঃসন্দেহে সে ম্যাচের মূল চরিত্র। ব্রাজিলের ফুটবলাররা তার সামনে এসে আত্মবিশ্বাস হারিয়েছে। দারুণ সেভ করেছে সে। ফলে পরবর্তীতে ব্রাজিলের ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাস নিয়ে শট সেভাবে করতে পারেনি।’