খুলনা গেজেট শুরু থেকেই পাঠকের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে। ক্রমেই হয়ে ওঠে সব মহলে আলোচিত ও প্রশংসিত একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। বস্তুনিষ্ঠ খবর ও বলিষ্ঠ মত প্রকাশে পত্রিকাটির সাহসী ভূমিকা প্রশংসার দাবি রাখে।
খুলনা গেজেট শুরু থেকেই খবর ও মন্তব্য প্রকাশের ক্ষেত্রে আঁকড়ে ধরেছে দলনিরপেক্ষতার নীতি। ঘটনার গভীরে গিয়ে সত্যানুসন্ধানে চেষ্টা করে আসছে পত্রিকাটি । ঘটনা, ইস্যু বা বিষয়ের ওপর সম্ভাব্য সব দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে খুলনা গেজেট। এছাড়া খুলনার আঞ্চলিক সংবাদগুলো গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করছে অনলাইনটি। খুলনাঞ্চলে যে কয়টি নিউজ পোর্টাল রয়েছে তার মধ্যে খুলনা গেজেট একমাত্র পত্রিকা যাদের রয়েছে অফিস ও একঝাঁক নবীন-প্রবীন সংবাদকর্মী। যারা তরতাজা সংবাদ পরিবেশন করে পাঠকের খোরাক জোগাচ্ছেন।
সততা ও সুসাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বড় প্লাটফর্ম খুলনা গেজেট। কেননা এখানে রয়েছে দেশ সেরা সাংবাদিকদের সমাহার। অনলাইন গণমাধ্যমের একজন কর্মী হিসেবে গভীরভাবে উপলব্ধি করি এখন অনলাইন সংবাদপত্রের সংখ্যা বেশি, কাগজের সংখ্যা বা গুরুত্ব দিন দিন কমে যাচ্ছে। বলতে গেলে, এই যুগ অনলাইনের। যান্ত্রিক জীবনে মানুষের অবসরের সময় নেই ঘরে বসে টিভি দেখার, পত্রিকা পড়ার। এখন হাতের স্মার্ট ফোনটিই টিভি, পত্রিকা। সাংবাদিকতায় এখন তথ্যপ্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। আধুনিক এই যুগে পৃথিবীর যে প্রান্তেই ঘটনা ঘটুক না কেন, তা মুহূর্তের মধ্যে আমাদের নাগালে চলে আসছে।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য মানসম্পন্ন অনলাইন পত্রিকার সংখ্যা খুবই নগণ্য। এক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে অর্থাৎ বিভাগীয় শহর কিংবা জেলা শহর থেকে যেসব অনলাইন পত্রিকা পরিচালনা করা হয় তা অনেকটা ওয়ান পিসি ম্যান নির্ভর। যদিও এসব মৌসুমী অনলাইন পত্রিকাগুলো বেশিদিন টিকে থাকছে না।
অনলাইন পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক হিসেবে নিজেকে জাহির করার একটা প্রবণতা এই সময়ে খুব বেশি করে চোখে পড়ছে। এসব অনলাইন পত্রিকার সংবাদ পড়ে পাঠক বিভ্রান্ত হন। বিরক্ত হয়ে পুরো অনলাইন গণমাধ্যমের সমালোচনা করেন। ডোমেইনের দাম কম হওয়ায় আজকাল প্রায় ঘরে ঘরে অনলাইন পোর্টাল।
অনলাইন সাংবাদিকতা খুবই স্মার্ট পেশা। অন্যান্য পেশাকে পেছনে ফেলে এ জগত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। অদূর ভবিষ্যতে অনলাইন সাংবাদিকতা অনন্য উচ্চতার শিখরে থাকবে।
শুভ জন্মদিন উপলক্ষে খুলনা গেজেট পত্রিকাটির শব্দসৈনিকদের কাছে আমার প্রত্যাশা তারা যেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষার ওপর একটু বিশেষ গুরুত্ব দেন। আঞ্চলিক ভাষায় দু’একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। তা না হলে দিন দিন হারিয়ে যাবে খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক ভাষা। জয় হোক খুলনা গেজেটের, বেঁচে থাকুক খুলনার আঞ্চলিক ভাষা।
লেখক : যুগ্ন সম্পাদক, খুলনা প্রেসক্লাব
খুলনা গেজেট/ এস আই