পর্নো ভিডিও তৈরি ও একটি অ্যাপের মাধ্যমে সেগুলো সরবরাহ করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী শিল্পী শেঠির স্বামী ও ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রা।
এর পর থেকেই রাজ কুন্দ্রার পেছনে ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে, নিম্মবিত্ত পরিবার থেকে রাজ কুন্দ্রার ধনী হওয়ার কাহিনি।
আইপিএলে ফিক্সিং কাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে তার গ্রেফতারের ঘটনাটিও ফের আলোচনায় এসেছে। এসবের মাঝেই আলোচিত হয়েছে, কীভাবে ইংল্যান্ডে বসবাসকারী ব্যবসায়ী রাজ কুন্দ্রার সঙ্গে বলিউড অভিনেত্রী শিল্পার বিয়ে হলো?
ভারতে গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশ, প্রেম করেই রাজের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন শিল্পা। এক সাক্ষাৎাকারে শিল্পা নিজেই জানিয়েছেন সে কথা। কীভাবে রাজের সঙ্গে তার পরিচয় ও পরে প্রণয় সে বর্ণনাও দেন এ অভিনেত্রী।
তিনি জানান, কাজের সূত্রে প্রায়শই লন্ডনে যেতে হতো তার। সেখানে একবার বিগ ব্রাদার নামে একটি টিভি শোতে অংশ নেন শিল্পা শেঠি। সেই শোতেই রাজ কুন্দ্রার সাথে সাক্ষাৎ শিল্পার। প্রথম দেখাতেই রাজকে পছন্দ হয় শিল্পার। বন্ধুত্ব হয়। একটা সময় রাজকে মনেও ধরে যায়। কিন্তু তিনি জানতে পারেন, রাজ বিবাহিত।
শিল্পা জানতেন না যে সাবেক স্ত্রী কবিতার সঙ্গে রাজের তখন বিবাহ-বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। ধীরে ধীরে জানতে পারেন রাজের অতীতের ব্যপারে।
এদিকে রাজও নানা কায়দায় শিল্পার মন জয়ের চেষ্টা করতে থাকেন। একদিন আচমকা শিল্পার কাছে পার্সেল আসে। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রঙের অত্যন্ত মূল্যবান পার্স উপহার দেন রাজ। এতো দামি উপহার পাঠাতে বারণ করে দেন শিল্পা।
ওই শিল্পার ভয় ছিল, রাজের সঙ্গে গড়া চমৎকার বন্ধুত্বের সম্পর্কটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এরপরও রাজ প্রেমের ইঙ্গিত দিতেন শিল্পাকে। এমনকি একদিন শিল্পাকে নিজের ‘ব্যাচেলর প্যাড’-এ আসতে নিমন্ত্রণ জানান রাজ।
তখন শিল্পা সাফ জানিয়ে দেন, সংসারি হলে ভারতে হবেন। লন্ডনে গিয়ে থাকা সম্ভব নয়। তার কিছু সময় পরে রাজ মুম্বাইয়ে বাড়ি কেনেন। আর শিল্পাকে বলেন, সেখান থেকেই তার ব্যবসা পরিচালনা করবেন। রাজের এমন সিদ্ধান্তে আপ্লুত হয়ে পড়েন শিল্পা। তার পর থেকেই রাজের সঙ্গে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন শিল্পা।
২০০৯ সালের নভেম্বরে ভারতে বিয়ে করেন এ জুটি। একই বছর রাজ কুন্দ্রা আইপিএল টিম রাজস্থান রয়্যালসে ১১.৭ শতাংশ শেয়ার কিনে নেন।
রাজ বর্তমানে দুই সন্তানের জনক এবং শিল্পা শেঠি ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য সংস্থাও পরিচালনা করেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, আনন্দবাজার পত্রিকা।
খুলনা গেজেট/ টি আই