ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি খলিলুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি। এ সময়ে পুুলিশ আরও দু’জনকে গ্রেপ্তর করে। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের আটক করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের স্ত্রী রেশমা খাতুন ৭ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসমি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আটককৃতরা হলেন, কালীগঞ্জ উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ও কাশিপুর গ্রামের কায়েম আলী মন্ডলের ছেলে খলিলুর রহমান, আলী হোসেনের ছেলে মকলেছুর রহমান ও তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে ইমরান হোসেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কাশিপুর গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আশিকুর রহমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে পৌর কাউন্সিলর মেহেদী হাসান সজল, আলী হোসেনের ছেলে মুসা, বিশারতের ছেলে রানা হোসেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সেকেন্দার আলী জানান, নিহত আরিফুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে এজাহারভুক্ত প্রধান আসামিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে কালীগঞ্জ পৌরসভাধীন কাশিপুর বেদে পল্লীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আরিফুল ইসলাম নামে ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিহত হন। নিহত আরিফ কাশিপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহিম লস্কারের ছেলে।