খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
  টাঙ্গাইলে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ৪ জন নিহত
  শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে নিহত ২

যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন

গে‌জেট ডেস্ক

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যার দায়ে ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল (জেলা ও দায়রা জজ) এর বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় দেন। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৮ জন আদালতে উপস্থিত থাকলেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০জনই পলাতক রয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামি হলেন- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন, মীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ, মো. ইসমাইল হোসেন, ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিশু, শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া, আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান, একই এলাকার সুলতান আহমেদের ছেলে মো. রাশেদ।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ আসামি হলেন- দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হাজী আবদুস সামাদের ছেলে আবুল কাশেম ওরফে পিচ্চি কাশেম, মৌলভী আলী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার, নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন, মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ মে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে হামলা চালায় আসামিরা। এ সময় তারা চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেনকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় নিহত জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. নাছির উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ এক বছর পর ২০১৭ সালের ৮ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর মামলাটির চার্জ গঠন করা হয়। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১২ জনের সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের বিচারক ১৮ জনের বিরুদ্ধে রায় প্রদান করেন।

মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মোবারক হোসেন বলেন, আদালতের এ রায়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!