দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনায় আরও দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, শনিবার বিকালে ঘোড়াঘাট উপজেলা সংলগ্ন সাগরপুর গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে আশরাফুল ইসলাম ওরফে শাওন (৪০) নামে এক জেনারেটর ও আইপিএস ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া প্রধান সন্দেহভাজন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা আসাদুল ইসলামের ভাই আশরাফুল।
আসাদুলের বোন রত্না বেগম বলেন, বিকাল পাঁচটার দিকে তাঁর ভাই শাওনকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ। এ ছাড়া শনিবার বিকালে ইউএনও কার্যালয়ের মালি মো. সুলতানকে (৩২) উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার দিনাজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই মামলার তদন্তে যাকেই প্রয়োজন হবে তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
এদিকে ওই মামলার দুই অন্যতম সন্দেহভাজন নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার বিশ্বাসকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দিনাজপুরের আমলি আদালতে নিয়ে পুলিশ তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শিশির কুমার বসু সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রধান সন্দেহভাজন আসাদুলকে আদালতে তোলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে র্যার ছয়জনকে আটক করে। এদের মধ্যে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে যুবলীগ নেতা আসাদুল ইসলামসহ তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এ ঘটনার পর আসাদুল ইসলামকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ওই ঘটনার পর বহিষ্কৃত অপর যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ বাকি তিনজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
খুলনা গেজেট /এমএম