ইউক্রেনের বন্দরে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ ওপর গোলাবর্ষণ এবং এতে জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান নিহতের ঘটনার জন্য বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএমওএ)।
জাহাজ পরিচালনায় বিএসসির অবহেলা ও সার্বিক অব্যবস্থাপনার কারণে নাবিকরা দুর্দশায় পড়েছেন এবং রাষ্ট্রীয় এই জাহাজটির চরম ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে বিএমএমওএ নেতারা এই অবহেলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের দাবি করেন।
আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএমএমওএর পক্ষ থেকে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাখাওয়াত হোসেন এ দাবি তুলেছেন।
এ সময় সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
সাখাওয়াত বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের প্রশ্ন জাহাজটি জেনে বুঝে কেন এই যুদ্ধ কবলিত অঞ্চলে প্রবেশ করল? যেখানে ১৫ ফেব্রুয়ারি জয়েন্ট ওয়ার কমিটি জায়গাটিকে যুদ্ধ কবলিত অঞ্চল বলে ঘোষণা দিয়েছিল। জাহাজটি ২২ ফেব্রুয়ারি বন্দর এলাকায় পৌঁছে। যা সম্পূর্ণ প্রশ্নবিদ্ধ।’
‘আমরা মনে করি যুদ্ধ কবলিত অঞ্চল ঘোষণা দেওয়ার পর জাহাজটিকে ওই অঞ্চলে পাঠানো ছিল বিএসসির একটি ভুল সিদ্ধান্ত,’ যোগ করেন তিনি।
চার্টার পার্টি বিধিমালা অনুযায়ী কোনো জাহাজ কোম্পানি তার জাহাজের নিরাপত্তার জন্য যুদ্ধ কবলিত এবং জলদস্যু প্রবণ এলাকায় যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। এ কথা উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন করেন যে এ ক্ষেত্রে জাহাজ মালিক কর্তৃপক্ষ বিএসসির পক্ষ থেকে কে জাহাজটিকে ওই এলাকায় যাওয়ার অনুমতি দিলো?’
জাহাজটির যুদ্ধ কবলিত ইউক্রেনে গমন ঠেকানো যেত উল্লেখ করে সাখাওয়াত বলেন, ‘এক্ষেত্রে বিএসসি অবহেলা করেছে।’
জাহাজটি যুদ্ধ কবলিত এলাকায় আটকে যাবার পরও জাহাজটির নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা নিহত নাবিক হাদিসুর রহমানকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি জানান।
এ প্রসঙ্গে বিএসসি এর নির্বাহী পরিচালক পীযুষ দত্ত গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘আমাদের বিমা প্রতিষ্ঠান যদি যুদ্ধ ঝুঁকি প্রিমিয়াম নিয়ে জাহাজকে কোথাও যাওয়ার অনুমতি দেয়, আমাদের চার্টার পার্টি চুক্তি অনুযায়ী সেই অনুমতি মেনে নিতে হয়।’
খুলনা গেড়জেট/এএ