খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ মাঘ, ১৪৩১ | ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন ইসরায়েলের, কার্যকর রোববার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দীর্ঘ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর গাজা উপত্যকায় আটক জিম্মিদের মুক্তির লক্ষ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েলি সরকার।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এই চুক্তিতে দেশটির মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২৪ জন মন্ত্রী পক্ষে এবং ৮ জন বিপক্ষে ভোট দেন।

রবিবার থেকে চুক্তিটি কার্যকর হবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে গাজায় আটক ৩ ইসরায়েলি নারী ও ৯৫ ফিলিস্তিনি বন্দিকে ররিবার মুক্তি দেওয়া হবে।

চ্যানেল ১২ এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বৈঠকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ইসরায়েলে বন্ধ থাকা অস্ত্র সরবরাহ শুরু হবে।

নেতানিয়াহু বলেন, ‘‘এটি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আমরা যদি চুক্তির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছাতে না পারি, তবে যুদ্ধের জন্য আমাদের কাছে অতিরিক্ত সরঞ্জাম থাকবে না।’’ এদিকে চুক্তি লঙ্ঘন না করতে ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছেন ট্রাম্প।

শুক্রবার ইসরায়েলের সীমিত নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজায় যুদ্ধবিরতি জিম্মিদের উদ্ধারে চুক্তির পক্ষে ভোট দেওয়ার পর মন্ত্রিসভার পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হয়।

দুই উগ্র ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচ এই চুক্তির বিরোধিতা করেছেন এবং চুক্তির প্রথম ধাপ সম্পন্ন হওয়ার পরে গাজায় পুনরায় যুদ্ধ শুরু করার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি দাবি করেন।

চুক্তি অনুযায়ী এসময়ে হামাস প্রথম ধাপে ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে।

চুক্তির পূর্ণ শর্তাবলীর প্রতি তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করার একদিন পর শুক্রবার হামাস এ কথা জানায়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী আইডিএফ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর একটি অভূতপূর্ব আন্তঃসীমান্ত হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলে হামাসের ওই হামলায় প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন। আর ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নেওয়া হয়েছিল।

হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এরপর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬,৮৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে ২৩ লাখ জনসংখ্যার বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। মানুষ বিভিন্ন চাহিদার সহায়তা পেতে সংগ্রাম করছে। বিশেষ করে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং নিরাপদ আশ্রয়ের তীব্র ঘাটতি রয়েছে।

ইসরায়েল বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়াদের মধ্যে ৯৪ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দি রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও যুদ্ধের আগে অপহৃত চার ইসরায়েলি রয়েছেন, যাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!