ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাশ্মীরের শ্রীনগরে বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর এক্সে দেওয়া পোস্ট ও ভিডিওর বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর দিয়েছে।
এর ফলে দেশ দু’টির মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
শনিবার (১০ মে) দিনগত রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, ‘এটা আবার কী হলো? শ্রীনগরের চারপাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির কী হলো?’
এর কিছুক্ষণের মধ্যেই শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নাগরিকরা ড্রোন শনাক্তকারী ট্রেসার ফায়ারের ভিডিও পোস্ট করেন।
এমনকি মুখ্যমন্ত্রী নিজেই একটি আপডেট ভিডিও দিয়ে লেখেন, ‘এটা কোনো যুদ্ধবিরতি না। শ্রীনগর শহরের এয়ার ডিফেন্স ইউনিটগুলো এখন গুলি ছুঁড়েছে’।
তার এই পোস্ট ও ভিডিও ঘিরে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। তার এই পোস্টটি শ্রীনগরে রাতে ড্রোন অনুপ্রবেশের সম্ভাব্য ঘটনা এবং তার জবাবে ভারতীয় এয়ার ডিফেন্স বাহিনীর প্রতিক্রিয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সর্বশেষ এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় ঘোষিত ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি’র ঠিক কয়েক ঘণ্টার মাথায়।
যদিও ভারত-পাকিস্তান বা মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ ঘটনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
তবে সর্বশেষ এই পরিস্থিতি যুদ্ধবিরতির কার্যকারিতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এটি হতে পারে:
স্থানীয় সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ চেষ্টার ফল। যা সরকারিভাবে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন নাও হতে পারে।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণার বিরুদ্ধে মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। বিশেষ করে কাশ্মীর অঞ্চলে সক্রিয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে।
যাইহোক না কেন, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত ও পাকিস্তানের পক্ষে এখন স্পষ্ট ও দায়িত্বপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জরুরি, বিশেষ করে যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ বজায় রাখতে।
খুলনা গেজেট/এমএনএস