পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিষয় আমাদের কোনো চিন্তা নেই। আমাদের জনগণ রায় দিয়েছে। আমাদের সপক্ষে যারা এসেছে তারা সবাই বলেছে যে, অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাত বিহীন নির্বাচন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকগণের সঙ্গে মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের স্বপক্ষে যারা আছে তারা সবাই নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ দিয়েছে। এর থেকে আর বড় কিছু নেই। এটা নিয়ে আমরা সবাই আনন্দিত। জনগণ বিভিন্ন প্রতিকূল পরিবেশে নির্বাচনে গেছে এটাই তো বড় কথা।
তাদের যে ভোট দেওয়ার অধিকার সেটা নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা অনেক আনন্দিত যে, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও সংঘাত বিহীন নির্বাচন করেছি। জনগণ তার রায় দিয়েছে। এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আমাদের আর কিছু দরকার নাই।’
আজকের অনুষ্ঠানের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকদিন ধরে বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধির সঙ্গে আমাদের কোনো সাক্ষাৎ ছিল না। কারণ আমরা অনেকদিন ধরেই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলাম। এ অনুষ্ঠানটা হচ্ছে সবার সাথে সাক্ষাৎ করা আর আনন্দ করা।’
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘সাফল্যের সাথে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আমরা বিশ্বাস করি এটা গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয় এনেছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথে এটা আরও বেগবান হবে। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চিন নতুন সরকারকে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সাহায্য করবে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মন্টিটাস্কি বলেন, ‘আমাদের পর্যবেক্ষকদের সাথে আলাপ করব। তাদের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করা হবে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টা বলেন, ‘আমরা মনে করছি এই নির্বাচন নতুন পথ খুলে দিবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা বাড়াতে। বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়ন চলমান থাকবে আশাকরি। আর বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে জার্মানি পাশে থাকবে।’
এর আগে প্রায় অর্ধশত বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকগণের উপস্থিতিতে নির্বাচন ও দেশীয় রাজনীতি বিষয় পারস্পরিক সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিক, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিকসহ দেশীয় গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ এএজে