যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক ও ইউটিউবার ইলিয়াস হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে নিউইয়র্ক পুলিশ। স্থানীয় সময় রোববার নিউইয়র্কের অদূরে একটি দ্বীপ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জ্যামাইকার ১১৩ প্রেসেন্ট হাজতে নেওয়া হয়েছে। সোমবার ইলিয়াসকে জামিনের জন্য আদালতে তোলা হবে।
পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রায়ান গ্রানশো জানান, নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় ভিডিও করার পর থেকে তাঁর খোঁজ শুরু করে পুলিশ। পরে ফোন ট্র্যাকিং করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি মামলার বাদীর বাড়িতে বোমা হামলার হুমকিসহ আদালত অবমাননার অভিযোগে ইলিয়াসের নামে হুলিয়া (পলাতক আসামিকে হাজিরের নোটিশ) জারি করে পুলিশ। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মিল্টন জ্যাকব ও প্রিমা রব্বনীর করা মামলায় ১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে গেলে তাঁকে আটক করা হয়। তবে ছেড়ে দেওয়া হয় ছয় ঘণ্টা পর। ১৭ জানুয়ারি আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত হননি। নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট ইলিয়াসকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য তার বাড়ির দরজা ও শহরের বিভিন্ন স্থানে ‘ধরিয়ে দিন’ পোস্টার লাগায়।
অভিযোগ রয়েছে, ২০ জানুয়ারি দুপুরে মামলার বাদী মিল্টন জ্যাকবকে ফোন করে তার বাড়িতে বোমা নিয়ে আসবেন বলে হুমকি দেন ইলিয়াস। জ্যাকব মিল্টন ও প্রিমা রব্বনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ করেন ইলিয়াস, যা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা। তবে ভিডিওটি মানহানিকর ও ভিত্তিহীন দাবি করে সিভিল ও ক্রিমিনাল আইনে ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিল্টন ও প্রিমা রব্বনী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত।
এছাড়া মিতু হত্যা মামলা নিয়ে মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার ধানমন্ডি থানায় পালিয়ে থাকা সাংবাদিক ইলিয়াস ও বাবুল আক্তারসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।