পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী শিরিন মাজারি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তার দাবি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক তখনই ভালো ছিল যখন ইসলামাবাদ তাদের ‘অধীনস্থ’ ছিল।
শনিবার পার্লামেন্টের অধিবেশনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের গভীর সম্পর্ক নেই, তাদের সঙ্গে আমাদের গভীর অধীনস্থার সম্পর্ক রয়েছে।
এর আগে, ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করার এবং তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিলেন।
এমনকি শনিবারের অধিবেশনেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশি বিরোধী দলের কাছে বিদেশি ষড়যন্ত্রের তদন্তের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, যদি আপনাদের বিশ্বাস না হয় যে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইমরানকে সরানোর চেষ্টা চলছে। তাহলে চলুন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ভিডিও কলের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হোক। তাকেই বিষয়টি সংসদে বিষয়টি বলতে দিন।
তিনি তার বক্তব্যে আরও বলেন, আমরা অনাস্থা ভোটের বিপক্ষে না। কিন্তু আমরা চাই ভোটের আগে বিদেশি ষড়যন্ত্রের যে প্রমাণগুলো আছে সেগুলো পরীক্ষা করা হোক।
কোরেশি আরও বলেন, রাজনীতি নিয়ে দর কষাকষি, দল পরিবর্তন করার জন্য বড় স্বপ্ন দেখানো হয়েছে এগুলো কি সাংবিধানিক?
যদিও যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাচক করেছে।
এদিকে, বিরোধীদলগুলো চাচ্ছে দ্রুত সব কার্যক্রম শেষ করে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আয়োজন করতে।
কিন্তু পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ইমরান খানের দলের সদস্যরা ইচ্ছে করে সময়ক্ষেপণ করছেন যেন আজ ভোট আয়োজন না হয়।
খুলনা গেজেট/এএ