যশোরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। অচেতন অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে আনার পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করলে মৃতদেহ ফেলে পালিয়ে যায় স্বামী। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও মৃতের স্বজনরা জানিয়েছেন, গৃহবধূ মায়া রাণীকে (৩৫) তার স্বামী পরিতোষ পিটিয়ে হত্যা করে মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে।
মায়া রাণী সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের পরিতোষ কুমার সানার স্ত্রী। তিনি একই উপজেলার তরুণ কুমার মন্ডলের মেয়ে। তারা স্বামী স্ত্রী যশোর উপশহর আশা অফিস সংলগ্ন সুফিয়া ভিলার নিচতলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে অচেতন অবস্থায় মায়া রাণীকে তার স্বামী পরিতোষ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক মায়া রাণীকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর স্বামী পরিতোষ স্ত্রী মায়ার মৃতদেহ জরুরি বিভাগে রেখেই পালিয়ে যান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মায়ার মৃতদেহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য হাসপাতালের মর্গে রেখেছেন।
এ ঘটনায় মায়ার ভাই সুশান্ত মন্ডল অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী পরিতোষ। তিনি দ্রুত তার আটক দাবি করেন।
এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হাসপাতাল বিটের পুলিশ অফিসার এ ঘটনার তদন্ত করছেন। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম