খুলনা, বাংলাদেশ | ১৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশে ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৬০
  হেজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি
  ছাত্র আন্দোলনে ১৫৮১ জন নিহত হয়েছেন : স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ কমিটি

যশোর হাসপাতালে করোনা টেস্টের নমুনা দিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ চরমে

যশোর প্রতিনিধি

যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা টেস্টের নমুনা দিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। নমুনা সংগ্রহের স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিরাপদ বজায় রেখে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। নেই কোনো ছাউনি। ফলে রোদ-বৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে অসুস্থ মানুষকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষার যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা থাকলেও সরকারি বরাদ্দ না থাকায় নমুনা দিতে আসাদের নিরাপদ অপেক্ষালয় তৈরি করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, করোনা টেস্টের জন্যে সকাল সাড়ে ৮টায় হাসপাতালের ‘ফ্লু‘ কর্ণারে লাইনে দাঁড়াতে হয়। সেখানে দায়িতপ্র্রাপ্ত ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সরকার নির্ধারিত ফিস জমা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর নমুনা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নমুনা নেয়ার কাজ শুরু হয়। নমুনা সংগ্রহের কাজ শেষ হয় দুপুর দু’ টায়। একটানা ৫ থেকে ৬ ঘন্টা দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে মানুষের ভিড় জমে যায় সেখানে। এতে অসুস্থ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বসে থেকে থেকে অনেকে চরম অসুস্থ হয়ে পড়েন। শারিরিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে কোনো তদারকি না থাকায় সুস্থ মানুষও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ছেন বলে অনেকে অভিযোগে জানিয়েছেন।

হাসপাতালে নমুনা দিতে আসা মানুষেরা জানান, যন্ত্রণার এ বিষয়টি নিয়ে তারা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। তা না হলে ভালো মানুষ নমুনা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়বে ও করোনায় আক্রান্ত হবার আশংকা থাকবে।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার দিলীপ কুমার রায় জানান, সরকারি ছুটি ব্যতিত প্রতিদিনই ৭০ থেকে ৮০ জন ফ্লু-কর্ণারে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করার পর নির্ধারিত স্থানে গিয়ে নমুনা দিচ্ছেন। নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও করোনা টেস্টের জন্যে নমুনা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত রাখা হয়েছে। ডাক্তার দিলীপ আরও জানান, হাসপাতাল অভ্যন্তরে খোলা কোনো জায়গা নেই। দক্ষ জনবলের চরম সংকট রয়েছে। নমুনা প্রদানকারীদের ফরম পূরণ করতে সতর্ক থাকতে হয়। যাতে ফরমের সাথে নমুনার কোনো গরমিল না হয়। এতে অনেক সময় লেগে যায়। ফলে নমুনা দিতে আসাদের অপেক্ষার পালা দীর্ঘ হয়। ইচ্ছা থাকলেও নমুনা দিতে আসাদের জন্যে নিরাপদ অপেক্ষালয়ের ব্যবস্থা করা যায়নি। এক্ষেত্রে সরকারি বরাদ্দ না পাওয়াটাই মূল কারণ বলে তিনি দাবি করেন।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!