যশোর হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হাসপাতালে কর্মরত ওয়ার্ড বয় ও এক ক্লিনিক দালালকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, সদর উপজেলার দাইতলা গ্রামের রিপন হোসেন ও আঞ্জুমানারা দম্পতি তাদের মেয়ে শান্তা খাতুনকে শ্বাসকষ্টের জন্য বুধবার ভোরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর থেকেই তারা মেয়েকে নিয়ে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের মেঝেতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ওয়ার্ডে একটি বেড খালি হলে তারা বেডে উঠতে যায়। এ সময় সেখানে দায়িত্বরত ওয়ার্ডবয় আসাদুজ্জামান বাধা দিয়ে জানান, ওই বেডে তার রোগী উঠবে। অন্য কোনো রোগী উঠতে পারবে না। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে আসাদুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে সাথে ক্লিনিক দালাল জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে রিপনকে মারপিট করে জামা ছিড়ে দেয়। এ সময় তার পিতা শহিদুল ইসলাম ও স্ত্রী আঞ্জুমানারা বাধা দিতে এলে তাদেরও মারপিট করা হয়। পরে ওয়ার্ডের অন্য রোগীরা আসাদুজ্জামান ও জাহাঙ্গীরকে গণধোলাই দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের খবর দেয়। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্ত ওই দু’জনকে ধরে তত্ত্বাবধায়কের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে দেড়ঘন্টা ধরে আলোচনা করে তত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান ও জাহাঙ্গীরকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হারুন অর রশিদ জানান, প্রাথমিকভাবে অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হয়েছে। রোগীর স্বজনদের তারা মারপিট করেছে এ অভিযোগের ভিক্তিতে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম