যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দি কিশোর টুটুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে বেধড়ক মারপিট ও গলায় গামছা পেচিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বজলুর রহমান নামে ওই কেন্দ্রের এক প্রহরীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বজলুর রহমান হাসপাতালে ওই কিশোরের প্রহরার দায়িত্বে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভোররাতে হাসপাতালের বাথরুমে নিয়ে তাকে নির্যাতন করা হয়। এরআগে বন্দি কিশোর টুটুল অসুস্থ হলে তাকে ৭ মার্চ বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা গেছে, অসুস্থ টুটুলকে হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন
ওয়ার্ডে দেখাশোনার জন্য যশোর পুলেরহাট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের দু’জন গার্ড বজলুর রহমান ও আব্দুল খালেককে দায়িত্ব দেয় কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, বুধবার রাতে বন্দি কিশোরের প্রহরায় ছিলেন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রহরী বজলু রহমান। তিনি বৃহস্পতিবার ভোররাতে টুটুলকে জোরপূর্বক ধরে বাথরুমে নিয়ে গলায় গামছা পেচিয়ে নির্যাতন করেন। এ সময় টুটুল চিৎকার দিলে তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন প্রহরী বজলুর রহমান। তিনি অভিযোগ করেন তার সিগারেটের প্যাকেট চুরি করেছে অসুস্থ বন্দি কিশোর টুটুল।
হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীরা জানান, বাথরুমে চিৎকার শুনে অনেকে এগিয়ে যান। তারা দেখতে পান টুটুলের গলায় গামছা পেচানো রয়েছে। সে বাঁচার জন্য শক্তি প্রয়োগ করছে। এ সময় প্রহরী বজলু তাকে মারপিট করছেন। বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলে প্রহরী বজলুর রহমান ওই ওয়ার্ডে ডিউটিরত ওয়ার্ড বয় তানজিলকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে টাকা দিয়েও ম্যানেজ করার চেষ্টা চালানো হয়। কিন্তু বিষয়টি ব্যাপকভাবে জানাজানি হয়ে পড়ায় বজলুর রহমানের অনৈতিক প্রস্তাবে সাড়া দেননি ওয়ার্ডবয় তানজিল। পরে খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে বজলুর রহমান সাংবাদিকদেরও ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক মঞ্জুরুল হাছান জানান, অসুস্থ কিশোর টুটুলের বাড়ি রংপুর জেলায়। তাকে নির্যাতনের ঘটনাটি সকালে জানতে পেরে তিনি নিজেই হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিত টুটুলের সাথে কথা বলেছেন। তারপর ডিজি সাহেবের সাথে আলোচনা করেছি। তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ