যশোরের চৌগাছার নন-এমপিও স্কুল কলেজের দুশ’ ৪৬ জন শিক্ষকের প্রণোদনার টাকা শিক্ষা অফিসের ভুলে আটকে রয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠালেও তার কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী শিক্ষকরা।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিকেএইচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফুজ্জামান আগা খান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী করোনাকালে নন-এমপিও শিক্ষকদের ৫ হাজার ও কর্মচারীদের আড়াই হাজার টাকা করে প্রণোদনা দেয়া হয়। অথচ জেলা শিক্ষা অফিস ভুল করে চৌগাছার ২৪৬ জন শিক্ষকের তালিকা না পাঠিয়ে শার্শা উপজেলার শিক্ষকদের তালিকা দু’বার পাঠিয়েছেন। যার ফলে চৌগাছার শিক্ষকরা বাদ পড়ে যায় এবং শার্শার নন-এমপিও শিক্ষকদের একই তালিকায় দু’বার টাকা আসে। যার একাংশ জেলা প্রশাসক দপ্তরে আটকা পড়ে আছে বলে জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তাদের অর্থ ছাড়ের জন্য জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব বরাবর চিঠি দিয়েছেন সংশোধনের জন্য। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এর কোন সুরাহা হয়নি। এ ব্যাপারে শিক্ষকরা জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টি আই