প্রার্থী ও সমর্থকদের রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষার মধ্য দিয়ে চলছে যশোরে জেলা পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের ভোট গণনা। শনিবার সকাল ৮টা থেকেই শহরের খুলনা বাসস্ট্যান্ড পুরাতন টার্মিনাল এলাকায় সংস্থার কার্যালয়ে এ গণনা শুরু হয়।
এর আগে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত যশোর সরকারি সিটি কলেজে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। নির্বাচনে আট হাজার ২৩৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭ হাজার ১১৭ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কলেজের ২০০টি বুথে এ ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট ভর্তি ড্রামগুলো পরিবহন সংস্থা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয়ের একটি রুমে তালাবদ্ধ করে তা সিলগালা করা হয়।
এরপর শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়। সংস্থার দ্বিতীয়তলার বেশ কয়েকটি টেবিলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে ভোট গণনা চলছে।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু মোর্ত্তজা ছোট বলেন, শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। তারা যথেষ্ট সতর্কতার সাথে ব্যালট বাছাই ও বিভিন্ন পদে ভোট গণনা করছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে ১৭টি পদে ৬১ জন প্রার্থী থাকায় ভোট গণনা সময় লাগছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, এবারের নির্বাচনে ইউনিয়নের নয়টি পোর্ট ফোলিও’র ১৭টি পদে ৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন।
তারা হলেন, সভাপতি পদে সেলিম রেজা মিঠু (ডালরেন্স), মামুনুর রশিদ বাচ্চু (মিনার) ও শাহেদ হোসেন জনি (হেলিকপ্টার), সহসভাপতি পদে আসাদুজ্জামান সুমন (গরুর গাড়ি), আবু হাসান (আনারস), মারুফ হোসেন (বটগাছ), রতন অধিকারী (মই), রবিউল হোসেন লবিন (তবলা), ষষ্টি দত্ত (তরবারি) ও হাদিউজ্জামান (চরকা), সাধারণ সম্পাদক পদে ইমান আলী (গোলাপ ফুল), আব্দুল ওয়াদুদ (বাইসাইকেল) ও মোর্ত্তূজা হোসেন (ফুটবল), যুগ্ম সম্পাদক পদে মিজানুর রহমান (একতারা) ও রবিউল ইসলাম মিন্টু গাজী (মোরগ), সহসাধারণ সম্পাদক পদে কাবিবুর রহমান টুটুল (বালতি), কামরুল ইসলাম (হাতুড়ি), মুজিবর রহমান সরদার (হাঁস), রফিকুল হাসান ডাবলু (ময়ূর), সেলিম রেজা (মোমবাতি) ও হারুন অর রশিদ ফুলু (মাইক), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে টিপু সুলতান (কোদাল) ও রিয়াজ উদ্দিন (কলা), প্রচার সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর হোসেন (কুলা), শেখ নান্টু (তীর ধনুক), আব্দুর রাজ্জাক (উট), আব্দুর রহমান মিন্টু (ঠেলা গাড়ি) ও আব্দুর রহিম খাঁ বাবু (খেজুর গাছ),কোষাধ্যক্ষ পদে কামাল হোসেন (হাতি), নজরুল ইসলাম (টেবিল ফ্যান) ও শহিদুল ইসলাম (স্লাাইসরেন্স), কার্যকরী সদস্য পদে ইমরান (কুঁড়েঘর), ইসরাফিল (হাতপাখা), এনায়েত হোসেন (দোয়েল পাখি), এমদাদুল হক (চশমা), এরশাদ আলী (তারা), আব্দুল আজিজ (টেলিভিশন), আনোয়ার বিশ্বাস (পানির বোতল), আবু মুসা (কলস), আলী হুসাইন (বাস), আসিফ খান (বাঘ), আসাদুজ্জামান (দোয়াত-কলম), আব্দুল করিম (কলম), আবু কাশেম (গাভী), শেখ চঞ্চল (ঘোড়া), জাকির হোসেন (গামছা), জাহাঙ্গীর হোসেন (চিংড়িমাছ), জাহাঙ্গীর হোসেন (প্রজাপতি), তরিকুল ইসলাম (ছাতা), মোহাম্মদ আলী (কাস্তে), মিজানুর রহমান (ঘুড়ি), মনিরুজ্জামান মনি (মোটরসাইকেল), মনিরুল ইসলাম (টায়ার), খন্দকার মাসুদুজ্জামান (দেয়াল-ঘড়ি), আব্দুর রউফ (পাঞ্জা), শেখ রাজু (রুই মাছ), রবিউল ইসলাম (আম), শিমুল বিশ্বাস (রিকশা), শহিদুজ্জামান সহিদ (হরিণ), হাফিজুর রহমান (ডাব) মার্কা।
খুলনা গেজেট/এনএম