যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনা করায় আদালতে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোর সদর সহকারী জজ আদলতে মামলাটি করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ পরিষদের সদস্য আসাদুজামান মিঠু, এএফএম মঈনুদ্দিন রোম, আনিসুজ্জামান পিন্টু, আব্দুল মান্নান, এসএম শামীম এজাজ ও আকসাদুর রহমান।
সিনিয়র সহকারী জজ সুজাতা আমীন আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেছেন। মামলায় বিবাদীরা হলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক, সহসভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং সাধারণ সম্পাদক।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি ক্ষমতা গ্রহণ করে। চার বছর মেয়াদি বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি। জেলা ক্রীড়া সংস্থার গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ভোটিং কাউন্সিলরের বিষয় নির্ধারণ করে সভা আহ্বান করতে হবে। সেই সভার সাতদিনের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ১৫ দিনের নোটিশে কাউন্সিলরের নাম চেয়ে চিঠি প্রদান করবেন। কিন্তু গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ২১ দিন আগে (৩০ জানুয়ারি) সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে ক্লাব প্রতিনিধির নাম চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। যা ৬ ফেব্রুয়ারি বাদীরা পেয়েছেন। এটি গঠনতন্ত্রের ২৬.১, ২৬.২, ২৬.৩ ধারা পরিপন্থি। কিন্তু বিবাদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বিধি বিধান না মেনে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেননি। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিতর্ক ছাড়া নির্বাচন সম্ভব না বলে বাদীরা মামলায় উল্লেখ করেছেন।
হাইকোর্টোর নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক বার্ষিক সাধারণ সভা না করায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মামলার অন্যতম বাদী আসাদুজামান মিঠু।
খুলনা গেজেট/কেডি