যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের হাজতখানার সামনে থেকে রোববার বিকেলে মদসহ ফুলমতি বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি সদর উপজেলার নূরপুর গ্রামের জামাল গাজীর স্ত্রী। আদালতের হাজতখানায় আটক থাকা ছেলে রবিউল ইসলামকে তিনি খাবার দিতে গিয়ে মদসহ আটক হন।
ফুলমতির স্বজনরা জানান, রবিউল ইসলাম একজন ট্রাকচালক। তিনি ইজিবাইক চুরি সংক্রান্ত একটি মামলার আসামি হওয়ায় রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আদালতের বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ কারণে রবিউল ইসলামকে পুলিশ আটক করে আদালতের হাজতখানায় আটকে রাখে। এ খবর পেয়ে খাবার নিয়ে ছেলেকে দেখতে এসেছিলেন ফুলমতি বেগম। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রবিউল ইসলামের বন্ধু সদর উপজেলার বাউলিয়া গ্রামের রিকশাচালক সিরাজ কোমল পানীয় ক্লেমনের একটি বোতল ফুলমতি বেগমের হাতে দিয়ে হাজতখানায় তার ছেলের কাছে পৌঁছে দিতে বলেন। কিন্তু খাবার নিয়ে হাজতখানার সামনে গেলে ক্লেমনের ওই বোতলের ভেতর মদ আছে দাবি করে পুলিশ এবং ফুলমতি বেগমকে আটক করে। এ সময় আদালত চত্বরে অবস্থানরত সিরাজ বিষয়টি টের পেয়ে রিকশা ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ তার ফেলে যাওয়া রিকশাটি উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আটক ওই নারী জানতেন না ক্লেমনের বোতলে মদ আছে। তিনি সরল মনে ক্লেমন ভেবে ছেলেকে দিতে গিয়েছিলেন। পুলিশ তাকে আটক করায় হাজতখানার সামনে তিনি হাউমাউ করে কেঁদেছেন।
আদালতের হাজতখানায় কর্মরত পুলিশের এটিএসআই সন্তোষ জানান, আদালতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য তল্লাশি করে ফুলমতি বেগমের ক্লেমনের বোতলের ভেতর মদ পেয়েছেন। এ কারণে ওই নারীকে তারা আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
খুলনা গেজেট/এএ