যশোরে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন বাঘারপাড়া উপজেলার ভদ্রবিলা গ্রামের আলী বক্সের ছেলে তৈয়ব আলী ও যশোর সদর উপজেলার ধোপাখোলা এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন।
আহত চারজনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে তৈয়ব আলী ছেলে সুজনের মোটরসাইকেলে চেপে যশোর-মাগুরা মহাসড়ক ধরে খাজুরা এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে হাশিমপুর বাজারের কাছে তাদের মোটরসাইকেলটি একটি গাড়িকে সাইড দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় সামনে থাকা একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাবা-ছেলে আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তৈয়ব আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের ডা. আহমেদ তারেক সামস বলেন, হাসপাতালে আসার আগে তৈয়ব আলীর মৃত্যু হয়েছে। সুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহের বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মাহফুজুর রহমান জানান, হাশিমপুরে দুর্ঘটনায় দায়ী বাসটি আটক করা হয়েছে।
এদিকে, ৪ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট এলাকায় বেনাপোলগামী একটি ট্রাক যাত্রীবাহী ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক চালক ইদ্রিস যাত্রীসহ চারজন আহত হন।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার্জারি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক রাফিদ ইজিবাইকের যাত্রী জাহিদ নামে একজনের মৃত ঘোষনা করেন। জাহিদ হোসেন নলকূপ মিস্ত্রি ছিলেন। তিনি বাড়ি থেকে ইজিবাইকযোগে যশোর শহরে আসার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।
যশোর কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলম আলাদা দুর্ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলেরহাটে দুর্ঘটনাকবলিত ইজিবাইক ও ট্রাক আটক করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট / এনআইআর