যশোরের মণিরামপুরের নেহালপুর ঝাউতলা গ্রামে স্বামী তার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টার পর নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। তারা হলেন-উপজেলার বালিধা গ্রামের মৃত হাতেম আলী গাজীর ছেলে উজির আলী (৫৫) ও স্ত্রী একই গ্রামের দেন আলীর মেয়ে পারভীন বেগম (২৮)।
গ্রামবাসী ও পুলিশ জানায়, তারা একে অপরের সাথে সম্পর্কের মাধ্যমে গত নয় মাস আগে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু উজির আলীর গ্রামে আরও কয়েকজন স্ত্রী থাকায় তিনি তাকে বাড়ি উঠাতে পারেননি। তিনি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি ভাড়া নেন। এখানে বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটি ও গোলযোগ শুরু হয়। এক পর্যায়ে উজির আলী বাড়ির ভেতরে বাথরুমের সামনে স্ত্রীকে ধরে নিয়ে তালগাছ কাটা ধারালো দা দিয়ে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা চালান। এসময় তার চিৎকারে বাড়ির অন্যান্য লোকজন বেরিয়ে এসে পারভীনকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রথমে মণিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর ওইরাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনার পর রাতেই স্বামী উজির আলী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর সকালে বাড়ি থেকে ২শ’ গজ দূরে ঘাস বনের পাশে সজনে গাছে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ খবর পেয়ে নেহালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আব্দুল হান্নান ও এএসআই শরিফুল ইসলাম বুজির আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম