যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় দিলীপ বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানার আদেশ দিয়েশ্রণ যশোরের একটি আদালত। এছাড়া চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় দু’জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মোস্তফা কামাল এ কারাদণ্ড প্রদান করেন। সাজাপ্রাপ্ত দিলীপ বিশ্বাস বেনাপোলের ঘিবা গ্রামের নরেন বিশ্বাসের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট বিমল কুমার রায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৪৯ বিজিবির সদস্যরা জানতে পারেন ঘিবা মাঠ দিয়ে একজন সোনা নিয়ে ভারতে পাচারের উদেশ্যে যাচ্ছে। এ সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা জিরো লাইনের ২২ নম্বর পিলারের পাশে গোপনে অবস্থান নেন। বেলা ১১টার দিকে এক ব্যক্তিকে আসতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাকে থামার নির্দেশ দেয়। এসময় তিনি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়। আটক দিলীপ বিশ্বাসের দেহ তল্লাশি করে কোমরে বিশেষ কায়দায় গামছায় মোড়ানো দুটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ২ কেজি। দাম ১ কোটি ৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে বিজিবির হাবিলদার উবাইদুল্লাহ হক বাদী হয়ে চোরাচালান দমন আইনে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় দিলীপসহ তিনজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফি আহম্মেদ রিয়েল। এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি দিলীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম করাদন্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। মামলার অপর আসামি একই গ্রামের আছের আলী ও মিন্নু হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাদের খালাস দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত দিলীপ বিশ্বাস বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।