খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সোনারগাঁওয়ে টিস্যু গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট
  আগামীতে সরকারের মেয়াদ হতে পারে চার বছর : আলজাজিরাকে ড. ইউনূস

যশোরে সোনা চোরাচালান ও অস্ত্র মামলায় দু’জনের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরে পৃথক সোনা চোরাচালান ও অস্ত্র মামলায় দুই আসামির পৃথক মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। মঙ্গলবার পৃথক দুটি আদালত ওই দুই আসামির সাজা প্রদান করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানা এলাকার মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মোমিন চৌধুরী ও বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের শফি মোড়লের ছেলে মেহের আলী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে বিজিবি সদস্যরা খবর পান বাংলাদেশ থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি সাদিপুর বেলতলা এলাকায় যাচ্ছে। এরই ভিত্তিতে তাৎক্ষনিক একটি টহল টিম বেলতলায় অবস্থান নেয়। কিছু সময় পর সন্ধ্যায় মোমিন চৌধুরীকে একটি বাইসাইকেলে আসতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের। এসময় বিজিবি সদস্য দেখে মোমিন সাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তার কাছ থেকে ৪৯ পিছ সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার দাম দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় বেনাপোল ৪৯/সি কোম্পানী আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের হাওলাদার নায়েক নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন মোমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিনে বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম মোমিনকে আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া, পৃথক আরেকটি মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি যশোরের ডিবি পুলিশের কাছে খবর আসে মেহের আলী নামে এক ব্যক্তি নিজ এলাকায় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে। বিকেল ৪টায় তারা সেখানে অভিযান চালিয়ে মেহেরকে আটক করে। পরে মেহেরের স্বীকারোক্তিতে তারই ঘর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডিবির এসআই ইউনুস আলী মেহের আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের পৃথক দুটি ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ডিবির এসআই আবুল খায়েল মোল্লা আদালতে মেহের আলীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন।

বুধবার মামলার রায় ঘোষণার দিনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ এ এফ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও অস্ত্র আইনের ১৯ এ ধারায় আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। দুই আসামিকে পৃথক আদালত সাজা প্রদান করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

খুলনা গেজেট/ টিএ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!