খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রেপ্তার

যশোরে সংঘর্ষ ও বিছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহণ

যশোর প্রতিনিধি

ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষ, বিএনপির পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়াসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার ১৭৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা ও ধানের শীষের নূর-উন-নবী প্রতিদ্ব›িদ্ধতা করছেন। উপজেলার সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক ভোটার তাদের ভোটারাধিকার প্রয়োগ করবেন।

শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ভোটারদের উপস্থিতি খুবই কম। হাতে গোনা সংখ্যক মানুষ ভোটের লাইনে দাড়িয়ে রয়েছে। কেন্দ্রে সরব রয়েছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে বিএনপির সমর্থক ও পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি কম ছিল। তিনটি ইউনিয়নে মারপিট ও সংঘর্ষের ঘটনা। এসব ঘটনায় ৫ জন আহত ও আরবপুর ইউনিয়নে বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম লাঞ্চিত হয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে বিএনপির পক্ষে কাজ করায় তাকে কেন্দ্রে থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বসুন্দিয়া ইউনিয়নের কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্ট বের করে দেয়া হয়েছে। একইসাথে কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এসময় ৩ কর্মীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কাশিমপুর ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দু’জন আহত হয়েছেন। রামনগর ইউনিয়নে এক বিএনপিকর্মীকে মারপিট করা হয়েছে। এছাড়া শহরের ঘোপ বিএড কলেজ কেন্দ্রে মুর্হু মুর্হু বিস্ফোরকদ্রব্য ফুটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। যাতে কেউ এখানে ভোট দিতে না আসে। কেন্দ্রটি বিএনপি অধ্যুষিত হিসেবে পরিচিত রয়েছে।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পাঁচ লাখ ৬০ হাজার ৫২৪ জন ভোটার রয়েছেন। যারা ১৭৫টি কেন্দ্রে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট দেবেন। ভোট পরিচালনার জন্য ১৭৫ জন প্রিজাইটিং অফিসার ও এক হাজার ১৩ জন পোলিং অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এবারের নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে এক হাজার ৫০০ জন পুলিশ সদস্য এবং দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। দুইজন জুডিসিয়াল ও ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ১৮টি মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের ছয়টি টিম নির্বাচনের মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করছেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর যশোর সদর উপজেলাসহ দেশের ৮টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও দুইটি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। যশোর সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের শূন্যপদে নির্বাচনে চারজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে যাচাই-বাচাইকালে বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহিত কুমার নাথের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।

উল্লেখ্য, যশোর-৬ আসনের এমপি উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় শাহীন চাকলাদার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নির্বাচন কমিশন যশোর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শুন্য ঘোষণা করেন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!