যশোরের কেশবপুর উপজেলার আলতাপোল গ্রামের শিশু রত্না হত্যা মামলায় দাদা ইসমাইল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পিবিআই। ইসমাইল হোসেন আলতাপোল গ্রামের কালাচাঁদের ছেলে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মককর্ত স্নেহাশিষ দাস। চার্জশিটে অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেনকে আটক দেখানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু রত্নার পিতা জাহিদুল ইসলাম আলতাপোল গ্রামে তার নানা কালাচাঁদের বাড়িতে বসবাস করতেন। জাহিদুল ও তার স্ত্রী শ্রমিকের কাজ করেন। ২০২০ সালের ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় রত্নার মা পাশের বাড়ি ছিল। ঘরে বসে টিভি দেখছিল রত্না। বাড়ি ফিরে তিনি ঘরের আড়ার সাথে রত্নার ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দেন। বাড়ির অন্যরা এসে র রত্নার মৃতদেহ নামিয়ে আনে। এ ব্যাপারে কেশবপুর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। ময়না তদন্ত রিপোর্টে রত্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়ায় পিতা জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে কেশবপুর থানা পুলিশ ও পরে পিবিআই তদন্তের দায়িত্ব পায়।
মামলার তদন্তকালে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের দাদা ইসমাইল হোসেনকে আটক করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা স্নেহাশিষ দাস। আসামি ইসমাইল হোসেন হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। এদিন রাতে তার পুতনী রত্নার ঘরে বসে একা টেলিভিশন দেখছিল। ইসমাইল তার যৌনাঙ্গ চেপে ধরলে রত্না চিৎকার দেয়। ইসমাইল তখন রত্নার গলা চেপে ধরলে সে মারা যায়। রত্নার মৃত্যুকে ধামাচাপা দিতে মৃতদেহের গলায় ওড়না পেচিয়ে আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে তিনি পালিয়ে যান। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় আসামি ইসমাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ টি আই