যশোরে হাফিজুর রহমান নামে আট বছরের শিশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের ফুলবাড়ি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
তার পিতা হাবিবুর রহমান জানান, ৫ বছর আগে তার স্ত্রী তামান্না বেগম গোলযোগ করে ভারতে চলে যান। তখন থেকে তিনি বিয়ে না করে ছেলে হাফিজুরকে মানুষ করি। নিজে রিকশা চালাই বলে তার মা ও বাবা ছেলেকে দেখাশোনা করতেন। স্ত্রী ভারত থেকে ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলতেন। আবার দেশে আসলে ছেলের সাথে মায়ের দেখা সাক্ষাৎ হতো। হাফিজুরের সাথে মা তামান্নার যোগাযোগ হলেই দেখতে পেতাম ছেলের মন খারাপ। সোমবার রাত ১২টার দিকে ছেলের সাথে মায়ের মোবাইলে কথা হয়। কিছুক্ষণ পরেই হাফিজুর মাথা ঘুরে পড়ে যায়। আমরা তাকে তখনই যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। তখন ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতে খালা পান্না বিবি জানান, বাড়ি থেকে খবর শুনলাম হাফিজুর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাই হাসপাতালের মর্গে আসলাম।
ইছালি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রিকতা খাতুন বলেন, শুনেছি ছেলেটি খুব ভালো ছিলো। মৃত্যুর জন্য সে কিছু খায়নি, শরীরে কোনো আঘাত বা গলায় দড়ি দিয়েছে এমন কোনো চিহ্ন নাই। প্রশ্ন থেকে গেলো মরলো কিভাবে ছেলেটি?
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, ছেলেটির মৃত্যুর কারণ বোঝা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের বোর্ড বসনো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, ছেলেটির মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। ময়নাতদন্তহয়েছে। এ রিপোর্ট আসলেই প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই